ব্যুরো নিউজ,৩১ ডিসেম্বর:মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমলে ভারত এবং মলদ্বীপের সম্পর্ক এক নতুন আলোচনায় উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে আমেরিকার ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, চলতি বছরের শুরুর দিকে মলদ্বীপের বিরোধী দল এমডিপি (মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি) ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মুইজ্জুকে পদ থেকে সরানোর জন্য।
যশস্বী জয়সওয়ালের আউটঃ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার হয়েছে কি?
পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মলদ্বীপের বিরোধী দল মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা) সহায়তা চেয়েছিল। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মুইজ্জুকে সরানো সম্ভব হবে বলে আশা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি কার্যকর করা যায়নি।এছাড়া, প্রতিবেদন অনুসারে, মুইজ্জুকে সরানোর জন্য মলদ্বীপের পার্লামেন্টের ৪০ জন সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই ৪০ জনের মধ্যে মুইজ্জুর নিজ দলের সদস্যরাও ছিলেন। তবে এই পরিকল্পনায় ভোটের সংখ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি এবং ফলস্বরূপ মুইজ্জুকে সরানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি।ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে মলদ্বীপের বিরোধী দলের নেতাদের আলোচনা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হলেও, ভারতের সরকারের ভূমিকা নিয়ে কোনো উল্লেখ করা হয়নি।
ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচঃ সর্বনিম্ন টিকিটের দাম কত জানেন?
মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং বিরোধী দলের প্রধান মহম্মদ নাসিদ এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই ধরনের পরিকল্পনার কথা আমি জানি না। ভারত কখনও মলদ্বীপের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আঘাত করতে চাইবে না এবং এই ধরনের পদক্ষেপে তাদের সমর্থন থাকবে না।” এখন পর্যন্ত নয়াদিল্লি থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি, তবে মলদ্বীপের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণ চলছেই।