ব্যুরো নিউজ,১ জানুয়ারি:মূত্রনালিতে সংক্রমণ, বিশেষত ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই), মহিলাদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা মূত্রনালির পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ইউরোলজিস্ট দীপ্তি সুরেখা জানান, শরীরের ‘পিএইচ ব্যালান্স’ মূলত রক্তের পোটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন (পিএইচ) মানকে নির্দেশ করে, যা সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য। যদি এর ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, যার মধ্যে মূত্রনালির সংক্রমণ অন্যতম।
জলেও মাইক্রোপ্লাস্টিক? কি ভয়ঙ্কর পরিমান স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে আপনি ভাবতেও পারবেন না
কি কি করবেন
শরীরের পিএইচ ব্যালান্স সাধারণত ৪.৫ থেকে ৮.০-এর মধ্যে থাকা উচিত। তবে খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন, আবহাওয়া এবং অন্যান্য কারণে এই পিএইচের মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে। বিশেষ করে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যা মূত্রনালিতে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। ঠান্ডার সময় জল কম খাওয়াও এই ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মূত্রনালিতে পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে:
- পর্যাপ্ত জল পান করুন:
প্রতি দিন অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করা উচিত। জল শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাইং প্রক্রিয়া চালিয়ে পিএইচ ব্যালান্স সঠিক রাখে। প্রস্রাবের রং হলুদ দেখলে দ্রুত জল পান করুন। এছাড়া ডিটক্স পানীয় যেমন মৌরি-মেথি ভেজানো জল, ছোট ফলের টুকরো ভেজানো জল খেলে উপকার পাওয়া যায়। - ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান:
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলালেবু, মুসাম্বি, কিউয়ি, ব্রকোলি এবং পেঁপে শরীরের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে সহায়তা করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়ক। - চা ও কফির পরিমাণ সীমিত করুন:
চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয় বেশি খেলে শরীরের পিএইচ ব্যালান্স বিঘ্নিত হতে পারে। এর বদলে গ্রিন টি বা ভেষজ চা খাওয়া ভালো। অ্যালকোহলের পরিমাণও কমিয়ে আনা উচিত। - প্রোবায়োটিক খাবার খান:
প্রোবায়োটিক শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই, পনির এবং ইডলি-দোসার মতো খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে, যা মূত্রনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর উপায়ঃ ত্বকের সৌন্দর্যও থাকবে অক্ষুণ্ন কিভাবে? জানুন
এই সহজ উপায়গুলো অনুসরণ করলে মূত্রনালির পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখা সহজ হবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
