ব্যুরো নিউজ,৪ ডিসেম্বর:বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির মধ্যে হিন্দুদের উপর নির্যাতন এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।এর প্রভাব বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলো বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাতে পড়ছে।তবে এর মাঝেই বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী মহীতোষ তালুকদার তাপস পারস্পরিক বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণকে। তিনি সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা রোধ করে শান্তি ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, মহীতোষ তার ফেসবুক পাতায় খালি গলায় ‘ও মোদের দেশবাসী রে’ গানটি গেয়ে এই বার্তা দেন।
নাহিদ ইসলামের ভারত-বিরোধী মন্তব্যঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
শান্তি ফিরবে?
তিনি বলেন বন্ধুরা, চলুন আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় রাখি। আমরা সবাই মিলে সাম্প্রদায়িকতা রুখে দিই। মানবতার জয় হোক, জীবন সুন্দর হোক। তিনি আরও বলেন আজ থেকে ৭৫ বছর আগে শ্রদ্ধেয় সলিল চৌধুরী এই গানটি লিখেছিলেন ও সুর দিয়েছিলেন। আজও এই গানটি আমাদের মধ্যে প্রাসঙ্গিক।মহীতোষ তার পোস্টে বাংলাদেশের ও ভারতের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বের মূল্য তুলে ধরেন এবং দুই দেশের জনগণের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেন। তার এই পোস্টের নিচে সহমত প্রকাশ করেছেন অনেক নেট নাগরিক। একজন লিখেছেন ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অটুট থাকুক, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হোক, মানবতার জয় হোক।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন ‘গানে গানে ভালো ভাবনা দিয়ে মানবিকতার জয়গান গাই।’ তবে কিছু মন্তব্য ছিল দ্বিমতেও। বিশেষ করে যারা মনে করেন জাতীয় পতাকাকে অপমান করার মতো কাজ করে ভালো সম্পর্ক গড়া সম্ভব নয়। তাদের মতে ‘মানবিকতার জয় হবে, যদি সবাই এক হয়ে কাজ করি।’
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে চন্দননগরের চিকিৎসকঃ প্রয়োজনীয়তা সচেতনতার
মহীতোষ তালুকদার তাপস বাংলাদেশের ময়মনসিংহের বাসিন্দা তবে বর্তমানে তিনি আমেরিকায় বসবাস করছেন। তার বাবা চাকরি সূত্রে আমেরিকায় চলে যাওয়ার পর তিনি ৩২ বছর ধরে সেখানে আছেন। তিনি বর্তমানে রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্স শহরের মেয়রের হিসাবরক্ষক পদে চাকরি করেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে আমেরিকায় থাকলেও বাংলা গান এবং বাংলা ভাষার প্রতি তার ভালোবাসা এখনো অটুট। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি তার মায়ের কাছে গান শিখতে শুরু করেছিলেন ২০০৩ সাল থেকে আবারো বাংলা গানের চর্চা শুরু করেন।