ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।এরপর ২০১৯ সালে আবারও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তবে মাত্র তিন দিনের জন্য। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং শিবসেনা একত্রে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছিল।তবে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সংঘর্ষের কারণে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন।এই পরিস্থিতিতে একনাথ শিন্ডে কার্যত নিজেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্বের লড়াই থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন,তবে তিনি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পরামর্শ নিয়েছিলেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবি
মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে?
সম্প্রতি, মহাযুতি জোটের নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপির অজিত পাওয়ার। বৈঠক শেষে একনাথ শিন্ডে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকটি ইতিবাচক ছিল এবং আমরা অমিত শাহ ও জেপি নড্ডার সঙ্গে আলোচনা করেছি।পরবর্তীতে আরও একটি বৈঠক হবে মুম্বইয়ে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী পদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এখন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৩৩টি আসনে জয়ী হয়ে মহাযুতি জোট ক্ষমতায় এসেছে, আর বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকেই মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। তবে একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি না হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। শিবসেনা এর আগে বিহারের উদাহরণ দিয়ে দাবি করেছিল, একনাথ শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।
ইসকনকে ‘জঙ্গি’ অপবাদের বিরুদ্ধে মধু পণ্ডিত দাসের জোরালো প্রতিবাদ
২০১৯ সালের নির্বাচনে, মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের পর বিজেপি একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করে সরকার গঠন করেছিল, তবে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছিল। কিন্তু এবার, বিজেপি একাই জয়ের পথে পৌঁছেছে এবং দলের ভিতর দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।