ব্যুরো নিউজ,২০ নভেম্বর:২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড থেকে নির্বাচন কমিশন বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, মূল্যবান সামগ্রী এবং মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল।তখন মোট বাজেয়াপ্তর পরিমাণ ছিল ১২২ কোটি টাকা। তবে এবারের নির্বাচনে সেই বাজেয়াপ্তের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে মোট ৮৫৮ কোটি টাকার নগদ, মূল্যবান সামগ্রী ও মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে,যেটা আগের চেয়ে সাতগুণ বেশি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই সব বাজেয়াপ্তি ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বড় পরিমাণ।নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা বেড়েছে বেআইনি অর্থ লেনদেন ও মাদকচক্রের বিরুদ্ধে।
মন্দারমনি হোটেল ভাঙার নির্দেশে ক্ষুব্ধ হোটেল ব্যবসায়ীরা, দ্বারস্থ আদালতের
নজরদারি বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন
মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে রয়েছে, পালঘর জেলার ওয়াদা থানা এলাকায় ৩.৭০ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া, বুলধানা জেলার জামোদ এসি থেকে ৪.৫১ কোটি টাকার ৪৫০০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, এবং রায়গড়ে ৫.২০ কোটি টাকার রূপো বাজেয়াপ্ত হয়েছে।ঝাড়খণ্ডে, অবৈধ খনির সামগ্রী এবং মেশিন বাজেয়াপ্ত করার খবর পাওয়া গেছে। সাহেবগঞ্জে ২.২৬ কোটি টাকার অবৈধ খনির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, ডালটনগঞ্জে ৬৮৭ কেজি পোস্ত এবং হাজারিবাগে ৪৮.১৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের নজরদারি চালানো হবে।
কলকাতা হাই কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার রায় আজ
রাজস্থানেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেখানে ৪৪৯ কার্টুন মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মদগুলি আলুর বস্তার আড়ালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।নির্বাচন কমিশন তার কঠোর তৎপরতায় বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখার জন্য তাদের নজরদারি বাড়িয়েছে।