ব্যুরো নিউজ,১ আগস্ট: দুনিয়ায় কত কি যে ঘটে আমরা তার ধারণাও করতে পারিনা। কি সব অদ্ভুত অদ্ভুত কান্ড বলুন তো?বাড়ির পোষা কুকুর মালিকের নির্দেশে গলায় ব্যাগ বেঁধে বাজার করে নিয়ে আসে। আবার অপরিচিত কে বাড়ির ত্রিসীমানায় ঢুকতে বাধা দেয়। এমনকি বাড়ির শিশু কিশোরদের পাহারা দেয় একেবারে মানুষের মত, কিন্তু একটি পোষ্য কুকুর কিনা ২৫০ কিলোমিটার পথ একা একা পাড়ি দিয়ে বাড়ি পৌঁছে গেল? সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। তাই না কি?বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তবে এটা সত্যিই ঘটেছে।
ঘটনাটি কর্নাটকের বেলাগাভি জেলার নিপানি তালুকের ইয়ামাগর্নি গ্রামের মহারাজের।
শহর জুড়ে হকার সমীক্ষা শুরু আজ থেকে।সময় বেঁধে দিলেন মেয়র পারিষদ
সারমেয় ফিরতেই গ্রামে আনন্দ
পোষ্য কুকুরটির নাম ‘মহারাজ’ ।সে তার মালিকের সাথে তীর্থ করতে গিয়েছিল। তীর্থে গিয়ে সে হারিয়ে যায়। মালিক তো বাড়ি ফিরে আসেন ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ।কিন্তু তারপরেই সেই অবাক করা কান্ডটি ঘটে। মালিক যেদিন বাড়ি ফেরেন ঠিক তার পরের দিনেই ঘটে ”মহারাজের প্রত্যাবর্তন”। অর্থাৎ কিনা ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে সে।
জীবন যুদ্ধে হার, প্রয়াত ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়
মালিক কমলেশ কুম্ভ প্রতিবছর তীর্থ করতে ২৫০ কিলোমিটার পথ হেঁটে যান মহারাষ্ট্রের পন্ধরপুরে। এবছর অবশ্য তীর্থে যাওয়ার পথে সঙ্গী হয় তার পোষ্য “মহারাজ”। কমলেশ জানিয়েছেন বিঠোবা মন্দির দর্শনের পর থেকেই পোষ্যটি হারিয়ে যায়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু অবশেষে পোষ্য ছাড়া ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বাড়ি ফিরতে হয় মালিককে। কমলেশ বাড়ি ফেরেন ১৪ ই জুলাই। সবাই ভেবেই নিয়েছিল তাদের পোষ্যকে আর কোনদিনই খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু পরদিনই সকলকে অবাক করে দিয়ে ফিরে আসে তাদের প্রিয় “মহারাজ”। মালিক থেকে শুরু করে সমস্ত গ্রামবাসী আনন্দে মেতে ওঠেন মহারাজ কে পেয়ে। কোন যাদুবলে পোষ্য টি এতটা পথ পাড়ি দিয়ে ফিরে এলো এটা সকলের কাছে বিস্ময়ের। “মহারাজে”র ফিরে আসার আনন্দে সারা গ্রামবাসীকে খাওয়ানো হয়।
সকলে ভাবছেন, কোনো পোষ্য এতটা পথ পেরিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে পারে না। ভগবান পথ না দেখালে সে কোনদিনও বাড়ি ফিরতে পারত না। ভগবানই তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসছেন।