মশার কামড়ে প্রান ওষ্ঠাগত, অন্ডকোষে জল জমে মহামারী বাংলায়!

ব্যুরো নিউজ,২৮মার্চ : পশ্চিমবঙ্গে হাইড্রোসিল রোগের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মূলত স্ত্রী কিউলেক্স মশার কামড় থেকে ছড়ানো লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস-এর কারণেই এই রোগ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের ২৪টি জেলায় এই রোগ মহামারির রূপ নিতে পারে।বিশেষ করে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র পুরুলিয়াতেই ৩১৭৪ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ১১৫৫ জন এবং বীরভূমে ৯৮০ জন হাইড্রোসিলে আক্রান্ত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাবাদী! কিভাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কেলক কলেজে বক্তৃতা অনুমতি দেওয়া হলো। জানতে চেয়ে প্রবাসীদের চিঠি মিচিকে

 কীভাবে ছড়াচ্ছে ফাইলেরিয়াসিস?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোংরা জল জমে থাকলেই স্ত্রী কিউলেক্স মশার উৎপত্তি হয়। এই মশা যদি কোনো ফাইলেরিয়াসিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ায়, তবে তার শরীরে থাকা পরজীবী লার্ভা মশার মধ্যে প্রবেশ করে। পরে সেই মশা যদি কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায়, তবে তার রক্তের মাধ্যমে এই পরজীবী কুঁচকি, হাত, পা, অণ্ডকোষ ও লসিকা গ্রন্থিতে বাসা বাঁধে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পা ফুলে যাওয়া, জ্বর, কুঁচকিতে ব্যথা এবং হাইড্রোসিলের মতো জটিলতা দেখা দেয়।শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিশান্তদেব ঘটক জানিয়েছেন, “এই রোগের লক্ষণ প্রথম দিকে বোঝা যায় না। কিন্তু ধীরে ধীরে হাত-পা ফুলে ওঠা, কুঁচকিতে ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি দেখা দেয়।”

প্লে গার্ল ‘ কেমন হয়,এদের চারিত্রিক কোন কোন বৈশিষ্ট্য দেখে চিনবেন

কাদের বেশি ঝুঁকি?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা—

• ফাইলেরিয়াসিস আক্রান্ত এলাকায় বসবাস করেন
• মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতন নন
• দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন

‘আমি ভেঙ্গে পড়েছিলাম’ ভয়ের মধ্যে পাথর হয়ে গিয়েছিলাম’ সারা আলি কোন প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন?

তাদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এই রোগ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে—মাস ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (MDA):
যেখানে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে অ্যালবেনডাজোল ও ডায়েথিলকারবেমাজিন সাইট্রেট (DEC) ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, যা এই পরজীবী ধ্বংস করতে সাহায্য করে।মরবিডিটি ম্যানেজমেন্ট ও ডিজঅ্যাবিলিটি প্রিভেনশন প্রোগ্রাম: যাঁরা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত, তাদের বিনামূল্যে হাইড্রোসিল অস্ত্রোপচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে ১৫৯৭ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

 সতর্কতা ও করণীয়, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা ও জমা জল অপসারণ করা রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করা ফাইলেরিয়াসিস প্রবণ এলাকায় গেলে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলা অসুখের লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া\বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা এবং দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক ব্যথা, অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া বা কুঁচকিতে অস্বস্তি অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।