ব্যুরো নিউজ, ২৬ এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় অর্থাৎ ১৩ মে ভোট হওয়ার কথা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তবে আদৌ ওই দিন ভোট হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, বহরমপুরের ভোট পিছিয়ে দেওয়া হবে কিনা। আর তার এই পর্যবেক্ষণকে কেন্দ্র করেই বহরমপুরে ভোট নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বাড়ির মেঝে খুঁড়তেই চক্ষু চরকগাছ! শাহজাহানের গড়ে উদ্ধার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র
ভোট ব্যাংকের জন্যই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন?
ঘটনার সূত্রপাত ১৭ এপ্রিল। ওইদিন রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন বলে খবর। এরপরই অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি আঙুল তোলেন বিজেপির দিকে। তিনি দাবি করেন বিজেপি অশান্তি ছড়ানো সৃষ্টি করছে। বুধবার রামনবমীর মিছিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি বহরমপুরে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তার পর্যবেক্ষণ, একটা অনুষ্ঠান যদি শান্তিপূর্ণভাবে করা না যায়, তাহলে সেখানে ভোটের কোন প্রয়োজন নেই। এই প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব যে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে মানুষ ৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই।’ এর পাশাপাশি ঘটনা দিনের বিবরণ হলফনামা আকারে রাজ্যকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য গত বছরও রাম নবমীকে কেন্দ্র করে কয়েকটি জায়গায় অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। যদিও সে বছরও রামনবমীর মিছিলে অশান্তির পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেই দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এই ভূমিকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী কি তাহলে হিন্দু বিরোধী আচরণ করছেন?
মুর্শিদাবাদের লালবাগে চড়ক পুজোকে কেন্দ্র করেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এবছর চরক পুজোর অনুমতি নিতে গেলে, প্রশাসন জানায় যে জায়গায় পুজো করবে সেটি ওয়াক অফ বোর্ড নাকি দাবি করেছে সেটা ওয়াক অফ বোর্ড-এর সম্পত্তি, সেখানে পুজো করতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে RTI করা হয়। RTI রিপোর্ট দিতেও নানা টালবাহানা করে। অবশেষে ৬ মাস পরে পুজোর ২/৩ দিন আগে রিপোর্ট হাতে আসে। এরপর প্রতিবারের ন্যায় চরক পুজো করতে গেলে সেখানে, রীতিমতো পুলিশ পিকেট RAF দিয়ে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর পুলিশমন্ত্রীর কাছে স্থানীয়দের প্রশ্ন, রাজনীতি করুন কিন্তু ন্যায্য কথা বা নিজের ধর্মের প্রতি অন্যায় এর সময় ভোটের লোভে চোখে কালোকাপড় বেঁধে রাখবেন?