ব্যুরো নিউজ,১৩ জানুয়ারি:যষ্টিমধু, যা আমরা সাধারণত মুলেঠি নামে জানি, এটি একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান যা আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। মিষ্টি স্বাদের এই ভেষজটি সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা এবং আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী। প্রায় সব পানীয় বা মিষ্টান্নের দোকানে সহজেই পাওয়া যায় যষ্টিমধু, যা আমাদের শরীরের জন্য নানা উপকারে আসে।যষ্টিমধুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি। এটি নিয়মিত সেবনে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং নানা শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা কমাতে এটি বিশেষভাবে উপকারী।
যষ্টিমধুর উপকারিতা:
১. মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন: যষ্টিমধু মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যার উপশমে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা কমাতে সক্ষম।
২. চুলের বৃদ্ধি: চুলের বৃদ্ধির জন্যও যষ্টিমধু খুব উপকারী। এটি চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. শ্বাসকষ্ট ও কাশি: সর্দি-কাশির সমস্যা কমাতে এবং শ্বাসকষ্টের উপশমে যষ্টিমধু অত্যন্ত কার্যকরী।
৪. পেটের সমস্যা: পেটের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন আলসার, বমি, ডায়রিয়া এবং পেট ফাঁপা কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৫. রক্তাল্পতা ও প্রস্রাবের সমস্যা: রক্তাল্পতা এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাতেও যষ্টিমধু উপকারী।
শীতে ত্বকের যত্নে বডি অয়েল এর ব্যবহারঃ কোন ত্বকের জন্য কোন বডি অয়েল ব্যাবহার করবেন? জানুন
কীভাবে ব্যবহার করবেন যষ্টিমধু?
যষ্টিমধুর ছোট একটি টুকরো মুখে রেখে তার রস নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, এটি গুঁড়া করে তিন থেকে পাঁচ গ্রাম সেবন করা যায়। গুঁড়ো যষ্টিমধু দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে তা আরও উপকারী। শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে এটি পিষে লাগানো যায়।তবে, এটি ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যষ্টিমধু অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে পেশী ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া এবং কখনও কখনও হাতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যষ্টিমধু সেবন করার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যষ্টিমধু একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক উপাদান, যা সঠিক পরিমাণে সেবন করলে শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে। তবে, যেকোনো দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগলে এর ব্যবহার শুরু করার আগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
