ব্যুরো নিউজ, ২৬ নভেম্বর : ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় অনেকেই রুটির পরিবর্তে ডাল খাওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। কেউ শুধু ডালের পানি পান করেন আবার কেউ আবার সিদ্ধ ডাল খান। সম্প্রতি স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক নিপা আশারাম একটি তথ্য তুলে ধরেছেন যে ডালে প্রোটিনের তুলনায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। এর ফলে অনেকের ওজন কমার বদলে বেড়েও যেতে পারে।
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভঃ সরকার বিরোধী অবস্থানে চরম উত্তেজনা
জেনে নিন ওজন কমানোর জন্য ডাল কি সত্যিই উপকারী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডাল একটি উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন উৎস, যাতে ফাইবারসহ কার্বোহাইড্রেট থাকে। যদিও কার্বোহাইড্রেট বেশি, তবে এটি ওজন কমানোর জন্য বেশ কার্যকর।
ডালের উপকারিতা
- উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন: মসুর ডাল নিরামিষাশীদের জন্য প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এটি পেশী বৃদ্ধি, মেরামত এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।
- পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ: মুগ, মসুর, তুর ডালে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এগুলো কম ক্যালোরিযুক্ত, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
- তৃপ্তি বজায় রাখা: ডালের উচ্চ ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং খাবারের মাঝে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
- শক্তি এবং বিপাক বাড়ায়: ডালের প্রোটিন এবং ফাইবার মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমানোর জন্য ডাল কখন খাবেন?
আপনার কি অতিরিক্ত রাগ হয় ? জানেন অতিরিক্ত ফলে কি ক্ষতি
রাতের খাবারে ডাল এবং ভাত একটি আদর্শ কম্বিনেশন। এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ও ফাইবারের সঠিক ভারসাম্য থাকে। তবে ডাল খাওয়ার পর ঘুমানোর আগে দুই-তিন ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। সপ্তাহে চার দিন রাতের খাবারে ডাল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।ডাল খাওয়ার সময় পরিমাণে সংযম বজায় রাখা জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।এই নিবন্ধে দেওয়া পরামর্শ সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। ডায়েটের বড় কোনো পরিবর্তন করার আগে একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।ডাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও, সঠিক পদ্ধতিতে খেলে তা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।