ব্যুরো নিউজ,১২ আগস্ট: হতাশা, অবসাদ , চিন্তা , স্ট্রেস, কাজের চাপ এবং আরও অন্যান্য প্রচুর চাপ প্রত্যেকটি মানুষকে প্রত্যেক মুহূর্তে পিষে চলেচ আজকালকার যুগের কম্পিটিশনের যুগে নিজেদের টিকে থাকার লড়াইতে মানুষ প্রায় হাসতেই ভুলে গেছেন।। কারো সঙ্গে দেখা হলেও মানুষ সৌজন্যমূলক হাসিটুকুও দেন না বরং একটি ফেক হাসি দিয়ে চলে যান। কিন্তু এই অবসন্নতা, প্রচন্ড কাজের চাপ মানুষের মন এবং শরীরের জন্য খুবই অপকারী তাতে হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন রকম স্নায়বিক সমস্যা ,ক্লান্তি ডিপ্রেশনের মতন বড়সড়ো অসুখেরও মুখোমুখি হতে হয়।
Paris olympics: বিনেশের ওজন বাড়ার দায় তার কোচেরই। বললেন পি টি ঊষা
হাসির কি কি সুফল আছে সেটা এখন জেনে নেওয়া যাক
কিন্তু আপনি যদি দিনে 10 মিনিটও মন খুলে হাসেন তাহলে এই সমস্ত অসুখ থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। এখন চারিদিকে লাফিং ক্লাব তৈরি করেছে যাতে মানুষকে হাসির ব্যায়ামের পাশাপাশি কিছু হালকা ব্যায়ামও করানো যায়। এইভাবে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা প্রতিকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে আজকাল লাফিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠা করে।
রাস্তা পরিণত হয়েছে পুকুরে, সেই জলেই স্নান করে প্রতিবাদ বাদুড়িয়ার গ্রামবাসীর
প্রতিদিন যদি প্রাণ খুলে হাসা যায় তাহলে মনের চাপ কমে, উদ্বেগ কমে , অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে , শরীরের বিভিন্ন ব্যথা বেদনা কমে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং ওজন কমায়।প্রাণ খোলা হাসির ফলে সবচেয়ে বড় রোগ থেকে যেটা বাঁচতে পারে সেটি হল হার্টের সমস্যা। আপনি হাসলে হার্টের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। আসলে হার্টের রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল ভালো হয়। তার ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে যায় এবং রক্ত চাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী রোজ ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাসলে ৪০ ক্যালরি কমে। তার ফলে ওজনও কমে। হাসি এক ধরনের ব্যায়াম । হাসি শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় শরীরের বিভিন্ন কোষের এবং কলা গুলিতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায় ফলে ফুসফুস এবং হার্টের অক্সিজেন সরবরাহ ভালোভাবে হয় এবং হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তাই রোজ দশ মিনিট করে প্রাণ খুলে হাসুন এবং শারীরিক বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পান।