ব্যুরো নিউজ, ৩ এপ্রিল : দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়েছেন স্ত্রীর হাতে। থাকতে চান না এই সম্পর্কে। সেলিব্রিটি শেফ কুণাল কাপুর এমন আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে পেলেন বিচারও। দিল্লি হাই কোর্ট তার অত্যাচারের কথা মেনে নিয়ে ডিভোর্স মঞ্জুর করল শেফ ও তাঁর স্ত্রীর।
কুনাল কাপুর একাধিক অভিযোগ আনলেন তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে, খোঁটা শুনতে হতো শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকেও
পুজো দিতে গিয়ে আদালত খ্যাত রণিত রায়ের সঙ্গে ঘটল অদ্ভুত অভিজ্ঞতা! কী হল সেখানে?
কুণাল দেশের গণ্যমান্য শেফদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ‘মাস্টারশেফ ইন্ডিয়া’র মতো শোয়ের বিচারকের পদ সামলেছেন। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০০৮ সালে। তবে প্রকাশ্যে আসেনি শেফের স্ত্রীর নাম। তাঁদের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। সন্তানের জন্ম হয়েছিল ২০১২ সালে। কুণাল একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি জানান, তাঁর স্ত্রীর ব্যবহার পালটাতে থাকে খ্যাতি পাওয়ার পর থেকেই।
সেলিব্রিটি শেফের তরফে অভিযোগ উঠেছে , তাঁর স্ত্রী অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করতেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁর ও তাঁর পরিবারের মান-সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, বার কয়েক পুলিশকেও ফোন করেছিলেন তার স্ত্রী। বারবার হুমকি দিতেন মিথ্যে অভিযোগের। ‘মাস্টারশেফ ইন্ডিয়া’র সেটে গিয়েও উৎপাত করেছিলেন ২০১৬ সালে। সেই সময় সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ছেলেকে ও।
অপরদিকে শেফের স্ত্রী নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি নিজের কেরিয়ার বিসর্জন দিয়েছেন কুণালকে বিয়ে করার পর। কিন্তু এর পরও খোঁটা শুনতে হতো শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে। অপমানও করা হতো চাকরি না করার জন্য। দিল্লি হাই কোর্ট দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরই ডিভোর্স মঞ্জুর করে। কুণাল এর আগে নাকি নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ডিভোর্সের। কিন্তু খারিজ হয়ে যায় তাঁর আর্জি সেখানে। তারকা শেফ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে স্বস্তির মুখ দেখলেন তিনি।
