ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি: প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় ফের বিভ্রাট ঘটল। সোমবার সন্ধ্যায় মেলার ২১ নম্বর সেক্টরে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যার ফলে ছয় পুণ্যার্থী গুরুতর আহত হন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে—নিখিল, প্রদীপ, ময়ঙ্ক, ললিত, এবং আমন। অন্য একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি, তবে তার বয়স ২০ বছরের আশপাশে বলে জানানো হয়েছে।প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুর্ঘটনার কারণ ছিল বেলুন বিস্ফোরণ। এমনকি, পুলিশের মতে, বাতাসের চাপের তারতম্যের কারণে বেলুনটি হঠাৎ নীচে নেমে আসে, যা আগুন ধরিয়ে দেয়।
বুমরাহের চোটের কারণে ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ থেকে বাদ, চাপ বাড়ল ভারতীয় শিবিরে
নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন
এই দুর্ঘটনার পর কুম্ভমেলার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের বসন্ত পঞ্চমীর শাহি স্নান চলছিল। লাখ লাখ পুণ্যার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার বেলুন যখন আকাশে ওড়ানো হয়, তখন সেই বেলুনে আগুন লেগে যায়। এতে সওয়ার ছিলেন ছ’জন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাঁদের সাব সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে পরে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসআরএন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ছ’জনের অবস্থাই বর্তমানে স্থিতিশীল।বিশেষ পুলিশ সুপার (কুম্ভমেলা) রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বেলুনের নীচে নামার কারণে আগুন লেগেছিল। যদিও আগুন লাগার আরও নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে পুলিশ বা প্রশাসন এখনও কিছু বলেনি।
এর আগে, ১৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যখন প্রায় ১৮০টি তাঁবু পুড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছিল, গীতা প্রেসের রান্নাঘরে চা তৈরির সময় গ্যাস লিক হওয়ার কারণে আগুন লেগেছিল, যা সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।মেলার এই দুর্ঘটনাগুলির পর, কুম্ভমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা উচিত বলে অনেকেই মনে করছেন।