ব্যুরো নিউজ,১৮ জুলাই: রাস্তায় ফেলে বেদম পেটানো হচ্ছে। তার পাশেই একজন পিস্তল ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারপরেই দেখা গেল, ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি। ওই ব্যবসায়ীর পায়ে ওই গুলি লেগেছে। এরকমই একটি হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। (ইভিএম নিউজ এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি) কৃষ্ণনগরে তোলা না দেওয়ায় ওই মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সকালে ওই মাছ ব্যবসায়ী নাম বিশ্বনাথ ঘোষ, তিনি আড়তে মাছ কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তার কাছে প্রচুর টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। উনি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সোজা পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়। শক্তিনগর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন বিশ্বনাথ ভর্তি রয়েছেন।
নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করতে মুসলিম আইন বাতিল বিজেপি সরকারের, পাশ হলো মন্ত্রীসভায়
কারা জড়িত এই গুলি চালনায়?
কৃষ্ণনগর গোয়াড়িবাজারে মাছ আড়তের এই ঘটনা। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে যুবককে হামলা করতে দেখা গিয়েছে, তার মধ্যে একজনের নাম ডাকু। অভিযোগ, ভিডিওতে আরো একজনকে দেখা গিয়েছে, তিনি শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। যদিও তৃণমূলের তরফে এখনো কিছু বলা হয়নি। জখম ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ কৃষ্ণনগর নগেন্দ্রনগর এর বাসিন্দা। তিনি প্রতিদিন কৃষ্ণনগর পাত্রবাজারে মাছ বিক্রি করেন। বিশ্বনাথের ভাই বলেন, সৈকত হালদার ওরফে ডাকু মেরেছে। দুইদিন আগে ওই ক্রিমিনাল জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মদ খাওয়ার টাকা দাদার কাছে চাইছিল। সেটা না দেওয়াতেই তাকে মেরেছে।
কষ্টের টাকা এই ব্যাঙ্কে রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমোন, ছুঁতে পারবে না জালিয়াতরা,এসেছে নয়া ফিচার
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, কৃষ্ণনগর লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও শহর কৃষ্ণনগর, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বা উত্তরে বিজেপি শক্তিশালী। তাই যেখানে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে সেখানে এই ঘটনা পুলিশ খতিয়ে দেখবে। ঘটনার সত্যতা নিয়েও তিনি সন্দিহান। আর বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলা জুড়ে মস্তানতন্ত্র চলছে। কথায় কথায় গুলি চলে। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, প্রশাসন কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী বিশ্বনাথের ভাই দাবি করেন, তিনি তৃণমূলের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক সময় সভাপতি ছিলেন। ফলে বর্তমানে বাংলার পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, দেখা যাচ্ছে একের পর এক নয়া বাহুবলী রাজ্যে তালিবানি শাসন চালাচ্ছে।