ব্যুরো নিউজ,২২ ফেব্রুয়ারি :কৃষ্ণনগর পুরসভায় একদিন হঠাৎই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। পুরকর্মীদের বিক্ষোভ চলছিল তাদের নানা দাবির পক্ষে, তখনই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ ব্যাপক মারপিটের ঘটনা ঘটে। লাঠি ও বাঁশ ব্যবহার করে একে অপরকে আক্রমণ করা হয়, আর তা ধীরে ধীরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন মারাত্মকভাবে আহত হন।
কলকাতা হাই কোর্টে নীল-সাদা রং নিয়ে জনস্বার্থ মামলা
আশঙ্কাজনক অবস্থা
তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটে রক্তারক্তি ঘটে, এবং তাঁদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এ ঘটনাটি ঘটেছিল কৃষ্ণনগর পুরসভা চত্বরে, যেখানে একদিকে বিক্ষোভরত কর্মচারীরা তাদের দাবি জানাচ্ছিলেন, আর অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এটি একদিকে যেমন কর্মচারীদের আন্দোলন ছিল, তেমনি অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠী – এক গোষ্ঠী পুরসভা চেয়ারম্যান রীতা দাসের সমর্থক, অপর গোষ্ঠী কাউন্সিলরদের – তাদের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। এই বচসার পরই পরিস্থিতি ঘোরতর আকার নেয়।পুরসভার কর্মীরা একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এই মারপিটের ঘটনায় ভাঙচুরও করা হয় পুরসভা চত্বরে, এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। কৃষ্ণনগর পুরসভা চেয়াম্যান রীতা দাস এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করেছেন যে, বাইরের মস্তানদের নিয়ে পুরসভায় ভাঙচুর করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসঃ কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে শনিবার ও রবিবার
তবে পাল্টা, কৃষ্ণনগর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন।এ পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। দু’পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করছে, এবং এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়ে গেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর পুরসভার পরিবেশ আরও অশান্ত হয়ে ওঠে।