ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশ উপদূতাবাস অভিযানের ডাক দেয়। এদিন কলকাতা পুলিশ শুরু থেকেই সতর্ক ছিল। মিছিলের অংশগ্রহণকারীরা যখন এগোনোর চেষ্টা করেন, তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বেকবাগানের কাছে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায়।
‘সোনার গয়না না পরেই বিয়ে!’ নিজের মতামত প্রকাশ করে বিপ্লব ঘটালেন ঊষসী কর
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তির পর, সনাতনী জাগরণ মঞ্চ নামে একটি ধর্মীয় সংগঠন গড়ে ওঠে। সেই মঞ্চের মুখপাত্র হন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তার ডাকে ঢাকার শহিদ মিনার চত্বরসহ একাধিক স্থানে হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষের জমায়েত হয়। এর প্রতিবাদে, চিন্ময়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে স্থানীয় বিএনপি নেতা মামলা দায়ের করেন। এর ফলে, চিন্ময়কে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্য হাইকোর্টে মামলা করে, কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়।
বাংলায় আলু উৎপাদনে স্বনির্ভরতার পথে রাজ্য সরকার, ২০২৫ সাল থেকে কি কমবে দাম?
কলকাতায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মিছিলের সময় পুলিশের প্রস্তুতি ছিল। একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করা হলেও, মিছিলকারীরা তা ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত, পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ উপদূতাবাসে প্রবেশ করে এবং সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে তারা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, কলকাতায় ইসকনের সঙ্গে তিনি দু’বার কথা বলেছেন। তবে, এটা দুই দেশের বিষয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি অবস্থান নেবেন।
