ব্যুরো নিউজ,২৬ সেপ্টেম্বর:মঙ্গলবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুজো সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার মনোজ বর্মা। তিনি পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যে কোনো সমস্যার বিষয়ে সরাসরি কলকাতা পুলিশকে জানান। সব সমস্যার সমাধান করা হবে।”
গভীর সমুদ্রে অভিযানে ভারত: মৎস্য ৬০০০ এর নতুন যুগ
মনোজ বর্মা পুজো সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক ডাকেন
পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই মনোজ বর্মা পুজো সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক ডাকেন। এই বৈঠকে কলকাতার বড় পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, সেই সঙ্গে পুরসভা, দমকল, সিইএসসি এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরাও তাদের মতামত জানান। বৈঠকে পুলিশের সকল ডিসি, এসি এবং ওসিদেরও উপস্থিত ছিলেন।মনোজ বর্মা বলেন, “কলকাতায় যে রকম শান্তিপূর্ণ পুজো হয়, আমরা এ বারও সে রকম শান্তিপূর্ণ পুজো করতে বদ্ধপরিকর। এর জন্য ক্লাব কমিটিগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন। তারা যদি কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রাখে, তাহলে পুলিশ তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করতে সাহায্য করবে।”এ দিনের বৈঠকে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর অন্যতম কর্তা সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রতি বছর কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের সমন্বয় বৈঠক হয়। নতুন পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা যথেষ্ট সদর্থক ছিল। তিনি সকলকে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন, এবং আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পেরেছি।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশকে জানালে সমস্যার সমাধান হবে, তবে ক্লাবগুলিকে পুলিশের সঙ্গে আরও সমন্বয়ের দিকে জোর দিতে হবে।”
কমলা হ্যারিসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগঃডেমোক্র্যাটিক দফতরে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য
এছাড়া, আগামী ২ অক্টোবর মহালয়া। সেই দিন থেকেই শহরের বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধন শুরু হবে। পুজোর আগে এই ধরনের সমন্বয় বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ এবং পুজো কমিটিগুলির মধ্যে সহযোগিতার ফলে একটি সফল এবং শান্তিপূর্ণ পুজোর পরিবেশ তৈরি হবে, এটাই এখন সকলের প্রত্যাশা।সমন্বয় বৈঠক থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনাগুলো কার্যকর করতে এবং সুষ্ঠু পুজো আয়োজনের জন্য সকল পুজো কমিটিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগ শহরের মানুষের জন্য একটি স্বস্তির বার্তা প্রদান করছে, যেখানে মানুষ আনন্দের সাথে পুজোর উৎসবে যোগ দিতে পারবেন।