ব্যুরো নিউজ ৮ নভেম্বর : কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বেড বিক্রির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হলেও, তদন্ত শেষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। গত সেপ্টেম্বরের শেষে কিছু জুনিয়র ডাক্তার দাবি করেন, আইসিইউ ওয়ার্ডে মোটা টাকার বিনিময়ে বেড বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ভবন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, যেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিও ছিলেন। প্রায় দেড় মাসের তদন্তের পর বৃহস্পতিবার কমিটি জানায়, এমন অভিযোগের তিলমাত্র প্রমাণ মেলেনি।
গুজরাটের কালীমন্দিরে সোনা চুরি , পুলিশি অভিযানে ধৃত অভিযুক্ত, উদ্ধার ৭৮ লক্ষ টাকার গয়না
ড্রপবক্স ও মেল চেক করা হলেও মেলেনি প্রমাণ
তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হাসপাতাল চত্বরে একটি ড্রপবক্স রাখা হয় এবং একটি মেল আইডি চালু করা হয়েছিল, যাতে রোগীর পরিবারের কেউ যদি অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করতে চান, গোপনীয়তা বজায় রেখে তা করতে পারেন। এ ছাড়াও অভিযোগ তদন্তে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে এসব প্রচেষ্টার পরেও কোনো প্রকার অভিযোগ বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তদন্ত কমিটি আরও জানায়, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও অভিযোগ ওঠা স্থানগুলোতে তিনটি বৈঠক করা হয়। প্রতিটি বৈঠকে ড্রপবক্স ও মেল চেক করা হলেও টাকা নিয়ে বেড বিক্রির প্রমাণ মেলেনি। এমনকি, সিসিটিভি ফুটেজেও কোনো সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়েনি। যৌথ মিটিংয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বীকার করেন যে, কয়েকজন রোগীর পরিবার থেকে শোনা কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতেই তারা অভিযোগ এনেছিলেন, যা কেবল সন্দেহের উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছিল।
চাঁদ-বৃহস্পতির মিলনে এই ৪টি রাশির জীবনে ঘুরতে চলেছে সৌভাগ্যের চাকা!
অভিযোগ তদন্তের অভিজ্ঞতার পর, হাসপাতালের পক্ষে কিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ‘পেশেন্ট ফিডব্যাক ফর্ম’ চালু করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে রোগীরা সরাসরি তাদের মতামত জানাতে পারবেন। পাশাপাশি, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হবে যেখানে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, নার্স, সিনিয়র অফিসাররা থাকবেন। দ্রুত সুপারিশ ও উন্নয়নমূলক পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ থাকবে গ্রুপে। এছাড়া প্রতিটি কর্মচারীর জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।