ব্যুরো নিউজ ৩০ সেপ্টেম্বর : কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যে পোষ্য কেনাবেচার জন্য যে আইন রয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, রাজ্যে পোষ্য কেনাবেচা ও প্রজনন অবৈধভাবে চলছে, অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
আপনি কি গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা ভুগছেন? আর্যুবেদিক টিপসে ফিরে পান সুস্থতা!
কি পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট
একটি পশুপ্রেমী সংগঠন এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। সংগঠনের অভিযোগ, ২০১৭ সালে “প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যাল অ্যাক্ট” এবং ২০১৮ সালে “ডগ ব্রিডিং, মার্কেটিং ও পেট রুল” আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে, এসব আইন সত্ত্বেও পোষ্য কেনাবেচার ক্ষেত্রে লাইসেন্সের কোনো প্রয়োজনীয়তা মানা হচ্ছে না।সংগঠনের দাবি, যারা পোষ্য কেনাবেচা করেন, তাদের নাম প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কিন্তু তারা অভিযোগ করেছেন, এটি হচ্ছে না এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মামলাকারী সংগঠন জানায়, পোষ্য কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার রেজিস্ট্রেশন নেই। এছাড়া, ক্রেতাদের সামনে যেভাবে পোষ্যগুলো দেখানো হয়, সেটিও অত্যাচারের সমান।অতিরিক্তভাবে, সামাজিক মাধ্যমে লাইসেন্সবিহীন দোকান থেকে কুকুর বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, যা পশুর প্রতি অত্যাচার বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। এই পরিস্থিতির ফলে আদালত রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যাতে পোষ্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
ধর্মতলায় চিকিৎসকদের মশাল মিছিলঃ আরজি কর ঘটনার সুবিচারের দাবি
এই মামলার মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্ট পোষ্যদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় আইন বাস্তবায়নের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে। পশুপ্রেমী সংগঠনগুলো আশা করছে, আদালতের নির্দেশনার পর সরকার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং পোষ্যদের প্রতি নির্যাতন বন্ধ হবে।