কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ

ব্যুরো নিউজ,২৭ নভেম্বর:কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৪১ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে কলকাতা হাই কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে।এই শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই হেফাজত: জামিনের পর গ্রেফতার

নিষেধাজ্ঞা জারি


কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ৪১ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। পরে, ১৯ সেপ্টেম্বর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সাসপেন্ড করে এবং ক্লাসে অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতে সওয়াল করার জন্য কল্যাণ দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন, কারণ তিনি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অংশ নিচ্ছিলেন।কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ‘যে ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত বা যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই গণহারে সাসপেন্ড করা হয়েছে, এটি প্রকৃত থ্রেট কালচার।’ তিনি আরও দাবি করেন, এই ধরনের আচরণ কলেজের সুশাসনের পরিপন্থী। বিচারপতি সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন এবং আগামী ৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।

আলফা-র উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়াল কেন্দ্র

এখন, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের কারণে, সাসপেন্ড হওয়া ৪১ জন পড়ুয়া ক্লাসে যোগ দিতে পারবেন এবং তাদের পঠনপাঠনে আর কোনও বাধা থাকবে না। এই বিষয়টি নিয়ে আদালত আরও বিস্তারিত শুনানি হবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে। কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের মামলাটি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ছিল এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের পক্ষ থেকে মামলা লড়েছেন।প্রসঙ্গত, সাসপেনশনের পর ছাত্ররা আদালতে যাওয়ার জন্য যা কিছু করেছিল, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষত, বিরোধী দলগুলো দাবি করছে, ছাত্রদের বিরুদ্ধে বেছে বেছে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা ঠিক নয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর