kolkata-hc-rules-on-ias-officer-wife-rape-case-controversy

ব্যুরো নিউজ ২৮ সেপ্টেম্বর: কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার অভিযুক্তের জামিন ও আগাম জামিন খারিজ করে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে মামলা হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের ফলে রাজ্যে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওঠা মামলার তদন্তে পুলিশের গাফিলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠেছে।

উলুবেড়িয়ায় শ্রমিক অসন্তোষঃ ল্যাডলো জুট মিল বন্ধের নোটিস

কি কি অভিযোগ উঠেছে

গত জুলাই মাসে লেক থানার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশে জামিনে ছিলেন, কিন্তু শুক্রবার হাইকোর্ট সেই জামিন বাতিল করেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ অভিযোগটি সঠিকভাবে পরিচালনা করেনি এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার অভাবের কারণে তদন্তের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেছেন, “যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন প্রাথমিকভাবে লঘু ধারায় এফআইআর দায়ের করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, নির্যাতিতাকে অভিযুক্তের পরিবার যেভাবে থানায় বসে হুমকি দিয়েছিল, সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে তদন্ত করা হয়নি।হাইকোর্টের নির্দেশে লেক থানার ওসি, একজন সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর বিজেপি রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “লালু প্রসাদের আমলে বিহারে এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল, এবার একই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে।”

তামিলনাড়ুর এটিএম ডাকাতির ঘটনাঃপুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই

রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, অভিযোগ জানাতে গেলে লেক থানায় কোনও মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। তাই কড়েয়া থানা থেকে একজন মহিলা আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি নির্যাতিতার বয়ান ভিডিও রেকর্ড করেন। রাজ্যের দাবি, নির্যাতিতা নিজে থেকে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করান, যার রিপোর্ট পুলিশকে প্রদান করা হয়েছিল। যদিও রিপোর্টে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের উল্লেখ ছিল, তবে কোথাও রক্তক্ষরণের কথা উল্লেখ হয়নি।

 

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর