ব্যুরো নিউজ, ২৪ জানুয়ারি:কলকাতার পূর্বাঞ্চলের ট্যাংরা এলাকায় দুটি বহুতল ভবন একে অপরের দিকে ঝুঁকে পড়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এটি কিছুদিন আগের একটি অনুরূপ ঘটনার পরবর্তী ঘটনা, যা আবারও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি তৈরি করেছে।ক্রিস্টোফার রোডে অবস্থিত, কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (KMC) ওয়ার্ড ৫৮ এর অন্তর্গত একটি ভবন বুধবার হঠাৎ ঝুঁকে পড়তে শুরু করে, যার মধ্যে কিছু বাসিন্দা বসবাস করছেন। পাশের একটি ছয় তলা ভবন , এখনো নির্মাণাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।KMC বৃহস্পতিবার সেই ভবনের বাসিন্দাদের তৎক্ষণাৎ evacuate হওয়ার জন্য নোটিস দেয়। KMC-এর এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা সেই প্রোমোটারকে খুঁজছি, যিনি KMC এর নির্মাণ নিয়ম ভেঙেছেন এবং যার কারণে বাসিন্দাদের এই বিপদে পড়তে হয়েছে। প্রোমোটার এবং লাইসেন্সকৃত বিল্ডিং সার্ভেয়ারকে তাদের দায়িত্ববোধের অভাবের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে।”
পাশ বালিশ জড়িয়ে শুলে হবে না এই রোগগুলি, বলছেন চিকিৎসকরা
নির্মাণের তদন্ত
এ ঘটনায় কামারহাটি মিউনিসিপাল চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, স্থানীয় কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাহা বলেন, “এটি একটি অবৈধ কাঠামো ছিল এবং এর জন্য কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি। প্রোমোটারের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে এবং ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।”এখন ওই এলাকা পুলিশ দ্বারা ঘেরাও করা হয়েছে এবং সেখানে পৌঁছাতে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, যিনি ভবনের পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন সেই লাইসেন্সকৃত বিল্ডিং সার্ভেয়ারকে ডেকে তাকে প্রশ্ন করা হবে। হাকিম বলেন, “আমাদের ধারণা, এই সার্ভেয়ার ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমরা জানব ভবনটির বিপর্যয়ের কারণ কী ছিল।” স্থানীয় কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা বলেন, তিনি ট্যাংরা এলাকার ফ্ল্যাট কেনার আগ্রহী লোকদের সতর্ক করবেন, যাতে তারা কোনো অবৈধ নির্মাণকারীদের হাতে পড়ে না যান। তিনি বলেন, “KMC কর্মকর্তাদের এটি দায়িত্ব, যাতে তারা কোনো ভবন যেগুলি অনুমোদিত নয় তা চিহ্নিত করতে পারেন। আমরা তাদের সহায়তা দেব।”
আরেকটি ঘটনা, যেটি কামারহাটি পৌরসভা এলাকায় ঘটেছে, বেলঘরিয়াতে একটি চার তলা অবৈধ ভবন প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ঝুঁকে পড়েছিল এবং এটি আরও ঝুঁকেছে। গত মঙ্গলবার এই ভবনটি পাশের ভবনের দিকে আরও ঝুঁকতে শুরু করেছে। KMC সূত্র জানিয়েছে, এই ভবনটির নির্মাণ কাজ চলাকালীন একটি প্রতিষ্ঠান হাইড্রোলিক চাপের মাধ্যমে ভবনটি সোজা করার চেষ্টা করছিল, যার ফলে এই বিপর্যয় ঘটেছে।এই ধরনের নির্মাণ এবং অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আরও তদন্ত করবেন এবং ভবনগুলির অবস্থা দ্রুত সমাধান করা হবে।
