ব্যুরো নিউজ,২৮ জানুয়ারি :কলকাতা বইমেলা, যে মেলার জন্য প্রতি বছর বইপ্রেমীরা অপেক্ষা করেন, এবার নতুন প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। বইমেলার মাঠে স্টল খুঁজতে গেলে সাধারণত যে গোলকধাঁধার মধ্যে পড়তে হয়, সেই সমস্যা থেকে এবার মুক্তি মিলতে পারে। ৪৮তম কলকাতা বইমেলার প্রাক্কালে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ঘোষণা করেছে একটি নতুন অ্যাপের কথা, যা বইমেলার স্টল খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে এবং সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই অ্যাপটির নাম আইকেবিএফ, যা ডাউনলোড করলে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকেই যেকোনো স্টলের নির্দিষ্ট পথ নির্দেশিকা পাবেন।
সিবিএসইর কড়া নির্দেশিকাঃ পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহার করলে দুই বছরের পরীক্ষা বাতিল
পথ নির্দেশিকা
বইমেলায় সাধারণত স্টল নম্বর দেখে ম্যাপ ধরেই খুঁজে নিতে হয় পছন্দের স্টল। তবে এবার অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই স্টলের সঠিক গন্তব্যের নির্দেশনা পাওয়া যাবে। এর ফলে বইমেলায় প্রবেশের পর আর সঠিক স্টল খুঁজতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে, কিছু সমস্যা থেকেই যেতে পারে, যেমন, প্রতি বছর মেলা চত্বরে নেট সংযোগের অভাব। তবে, অ্যাপটি কাজে লাগলে, স্টল খুঁজে পেতে অনেক সুবিধা হবে।
এবারের কলকাতা বইমেলায় স্টল সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এক হাজারেরও বেশি হবে। ছোট বড় স্টল, লিটল ম্যাগাজিন, সব মিলিয়ে মেলা এবার আরও বড় আকারে আয়োজিত হবে। আজ, মঙ্গলবার বিকেলে এই বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারমান, গ্যেটে ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর মারিয়া স্টাকেনবার্গ সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
প্রচুর সূর্যালোক তবু কেন ভারতীয়রা ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছেন? কীভাবে পূরণ করবেন এই ভিটামিন?
এবারের মেলায় বিশেষ একটি দিক থাকবে। সাহিত্যিক আবুল বাশার গিল্ডের জীবনকৃতী সম্মান পাবেন। পাশাপাশি, সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক, গ্যেটে, ম্যাক্স মুলার, ব্রান্ডেনবুর্গের নামে গেট থাকবে। মেলার থিম দেশ হিসেবে জার্মানি, তাই তাদের বিভিন্ন সাহিত্যিকদের নামে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। যেমন, রিলকে, ব্রেখট, কাফকা, হের্তা মুলার, টমাস মান প্রমুখের নামে রাস্তা থাকবে।বইমেলায় এবার একটি নতুন এবং মজাদার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো, বাঙালি পোশাকের হাঁস দম্পতির আদলে একটি ম্যাসকট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, ইংরেজি ভাষার বইগুলো এবার মুক্ত আকাশের নীচে আনা হয়েছে, ফলে বইমেলার অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য আরও বেশি জায়গা পাওয়া যাবে। তবে, ১৯৯৬ সালের পর, এবারের বইমেলায় আর থাকবে না বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন।