ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী ছিলেন। সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশের অ্যান্টি-কোরাপশন কমিশন তার বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করেছিল।ওই মামলাটি তেজগাঁও থানায় দায়ের করা হয়েছিল। মামলার অভিযোগ ছিল, খালেদা জিয়া এবং তার তিন সহযোগী ট্রাস্টের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন, যেটা বেআইনি ছিল।
মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তায় ইসরোর প্রযুক্তিতে তৈরি উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র
বিএনপি নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠবে ?
২০১৮ সালে ঢাকার নিম্ন আদালত এই মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।পরে হাইকোর্ট খালেদার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেয়। তবে, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে তার বয়স ও স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে, সাময়িকভাবে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে শর্ত ছিল, তিনি গৃহবন্দি থাকবেন এবং বাংলাদেশের বাইরে যেতে পারবেন না।চলতি বছর আদালত খালেদা জিয়া এবং তার অন্যান্য সহযোগীদের খালাস করে দিয়েছে। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং সইদ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ও তার সহযোগীদের জন্য নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হলো। তারা এখন মুক্তি পেয়ে সমাজে ফের সক্রিয় হতে পারবেন।
চিনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তঃ সামরিক বাহিনীতে সংকটের অন্ধকার দিক
এই মামলা এবং রায়ের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী হতে শুরু করেছে? কারণ, শেখ হাসিনার শাসন শেষে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পাওয়ার ঘটনা অনেকেরই মনে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে।এখন, দেখার বিষয় হলো, খালেদা জিয়া কি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবেন এবং বিএনপি নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠবে ?