ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:সিবিআইয়ের গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর, বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, ( কেষ্ট ) গত দু’বছর তিহাড় জেলে কাটানোর পর অবশেষে জামিন পেয়ে বীরভূমে ফিরে এসেছেন। তার মেয়েকেও তিহাড় জেলে থাকতে হয়েছিল। গত শনিবার, কেষ্ট কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য।
নাসরাল্লার পর হিজ়বুল্লার নেতৃত্বে তুতোভাই হাশেম
তার গাড়ি শক্তিগড়ে থামে
রবিবার সন্ধ্যায় বোলপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে তার গাড়ি শক্তিগড়ে থামে। সেখানে তিনি টিফিন করেন। তিনি সাধারণ খাবার বেছে নেন—চিনি ছাড়া চা ও শশা দিয়ে মুড়ি। তিনি ল্যাংচা খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ল্যাংচা খাওয়া এড়িয়ে যান। এরপর গাড়ি আবার কলকাতার দিকে চলতে শুরু করে।রাজ্য রাজনীতিতে গুঞ্জন উঠেছে যে, কেষ্ট কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করবেন? যদিও তিনি রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবার খাননি, গাড়িতেই খাবার খান। গাড়িতে বসে আধঘণ্টা কাটানোর পর, তিনি শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কেষ্ট বলেন, “বাড়িতে দুর্গাপুজো আছে, তাই কলকাতায় চিকিৎসা করে বাড়ি ফিরব। পরে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের সঙ্গে দেখা করব।” তিনি আরও বলেন, “গোটা রাজ্যে মারাত্মক বন্যা হয়েছে। মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। সবাই যেন ভাল থাকে এবং দুর্গাপুজো সুন্দরভাবে কাটাতে পারে।”কেষ্ট তার মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়েই কলকাতায় যান চিকিৎসার জন্য। তিনি জানান, “এখন পরপর উৎসব আসছে। দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজো এবং তারপর কালীপুজো হবে। ছট এবং জগধাত্রী পুজোও আছে। সবাই যেন ভাল করে দুর্গাপুজো কাটান।”
ভারত-পাকিস্তানের বাগ্যুদ্ধঃকাশ্মীর ও সন্ত্রাসের অশান্ত আলোচনায় উত্তেজনা
জেলে যাওয়ার আগে কেষ্ট পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা—আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রাম দেখভাল করতেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে, এবং এখন এসব দায়িত্বে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।রবিবার দুপুরে, শক্তিপীঠ কঙ্কালীতলায় পুজো দেন কেষ্ট। সেখানেও তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। শক্তিগড়ে গাড়ি দাঁড়ালেও মিষ্টি মুখে তোলেননি তিনি। কেষ্ট মণ্ডলের সফরসঙ্গী হিসেবে পাইলট কারের সঙ্গে আরও দুটি গাড়ি ছিল। গাড়ির চালকের পাশে ছিলেন কেষ্ট, এবং পিছনের আসনে ছিলেন তার মেয়ে সুকন্যা।