ব্যুরো নিউজ ১৫ জুন: রবিবার ভোরে ফের একবার শোকের ছায়া নেমে এল কেদারনাথ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা-কে ঘিরে। সকালে ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ কেদারনাথ ধাম থেকে গৌরীকুণ্ডে ফেরার পথে আরিয়ান অ্যাভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে গভীর জঙ্গলের মধ্যে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের, যাদের মধ্যে রয়েছে একজন শিশু এবং একজন মহিলা। দুর্ঘটনার সময় কপ্টারে মোট ৭ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে শুধু একজন বেঁচে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পঞ্চম হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হঠাৎ করেই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়, যার ফলে পাইলট উপত্যকা এড়িয়ে কপ্টারটি নিরাপদ জায়গায় নামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গৌরীকুণ্ডের নিকটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ঘন কুয়াশা এবং দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে।
রামপুরহাটে রান্না বন্ধ! পুষ্টি বঞ্চনায় শিশুরা
এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর দল ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্য শুরু করলেও, দুর্ঘটনাস্থল গভীর জঙ্গলে হওয়ায় কাজ এগোতে সময় লাগছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে, এবং মৃতদেহগুলি বহন করতেও ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গত দেড় মাসে কেদারনাথ রুটে এটি পঞ্চম হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা। বারবার এই ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, পর্যাপ্ত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও ফ্লাইট সেফটি ম্যানেজমেন্ট ছাড়াই কীভাবে এই রুটে হেলিকপ্টার চলাচল অনুমোদিত হচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চপর্বতীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ, আর তাই সুনির্দিষ্ট সতর্কতা ও প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো না থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।
তৃণমূলে রক্তগরম রাজনীতি ফের প্রকাশ্যে!
পর্যটন দপ্তর ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের উচিত এই ঘটনায় কড়া তদন্তের নির্দেশ দেওয়া ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সংস্কার করা। না হলে, এই জনপ্রিয় তীর্থযাত্রার রুট বারবার মৃত্যুফাঁদে পরিণত হতে পারে।