ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি: অবশেষে জল্পনার অবসান। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছাড়লেন দলের মুখপাত্র তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী। বুধবার ব্যারাকপুরে তার বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৌস্তব জানিয়ে দেন তিনি আর কংগ্রেসে নেই। তার ইস্তফাপত্র তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক তথা এ রাজ্যের দলের পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদকে।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেফতার নওশাদ সিদ্দিকি
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব ও রাজ্য কংগ্রেসের কিছু কার্যকলাপের জন্য মতান্তর ঘটছিল। এ রাজ্যের একটি ডেয়ারি কোম্পানির মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করতে এসেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তিনি অধীর চৌধুরীর দায়ের করা মামলার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ নিয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন। সেদিন হাইকোর্টে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেন কৌস্তব।
অবশেষে পড়লো জল্পনার উপর সিলমোহর
তিনি কংগ্রেসে থেকে তৃণমূলকে সমর্থন করা কোনভাবেই বরদাস্ত করবেন না জানিয়ে দেন। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি তুলে যেভাবে আক্রমণ করেছিলেন তাতে কৌস্তব তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন এবার তিনি দীপক ঘোষের লেখা বইটি যাতে সবার কাছে পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা করবেন। এরপরই ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার হঠাৎই গভীর রাতে ব্যারাকপুরে কৌস্তবের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পরের দিন সকালে তার জামিনে মুক্তি হয়ে যায়। কৌস্তুভ বাগচি এরপরই জানিয়ে দেন যতদিন না রাজ্য সরকারকে উৎখাত করা হচ্ছে ততদিন তিনি মাথায় চুল রাখবেন না। তিনি মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন।
এরপরই তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায় ‘বাংলার ভবিষ্যৎ বিকল্প রাজনীতি’ লিখে। তখন থেকেই একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে তিনি কংগ্রেস ছাড়তে পারেন। তাছাড়া এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট কোনোভাবেই তিনি মেনে নেবেন না তাও স্পষ্ট করে দেন। ঠিক নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভার দুটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়বে বলে জোটের দিকে এগিয়ে যান তাতে আরো ক্ষুব্ধ কৌস্তব স্পষ্ট জানিয়ে দেন এ রাজ্যে জোট হলে বামপন্থীদের সঙ্গে জোট তিনি মেনে নেবেন কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নৈব নৈব চ। এরই মাঝে তার এই ইস্তফা পত্র সেই জল্পনাকেই আবার উসকে দিল যে কৌস্তব কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিতে চলেছে বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন তার এমন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হলে কৌস্তুভ জানান কংগ্রেসের হাই কমান্ডের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তৃণমূল কংগ্রেস। যেহেতু কংগ্রেস তার রাজনৈতিক সত্তা হারিয়েছে তাই তাঁর এরূপ সিদ্ধান্ত বলে দাবি। ইভিএম নিউজ