ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:লেবাননে ইজ়রায়েলি হামলায় হিজ়বুল্লার নেতা হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর প্রতিবাদে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমেছেন স্থানীয় কিছু মানুষ। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক নেত্রী মেহবুবা মুফতি( পিডিপির নেতৃত্বে রয়েছেন) নাসরাল্লার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক দিন নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি নাসরাল্লাকে ‘শহিদ’ তকমাও দিয়েছেন।
মহালয়া আসছে, কিন্তু কলকাতার পুজোর রং কি বদলে যাচ্ছে?
প্রচার বন্ধ
গতকাল ইজ়রায়েল জানিয়েছে, তাদের সেনাবাহিনীর হামলায় নাসরাল্লার মৃত্যু হয়েছে। তার প্রতিবাদে কাশ্মীরের পুরনো শ্রীনগর, বডগাম ও অন্যান্য এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের হয়। মেহবুবা মুফতি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, “লেবানন ও গাজ়ার শহিদদের, বিশেষত হাসান নাসরাল্লার প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে আমি প্রচার বন্ধ রাখছি। প্যালেস্টাইন ও লেবাননের মানুষের এই গভীর শোকের মুহূর্তে তাদের পাশে থাকতে চাই।”রাজনীতিবিদদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৭-৮ শতাংশ শিয়া। ইরানের সমর্থনে পুষ্ট শিয়া সংগঠন হিজ়বুল্লার প্রধানের মৃত্যুতে কাশ্মীরের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়। মেহবুবা মুফতি শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রচার বন্ধ রাখার বার্তা দিয়েছেন।
ধর্মতলায় চিকিৎসকদের মশাল মিছিলঃ আরজি কর ঘটনার সুবিচারের দাবি
অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জম্মুতে কাঠুয়ার নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বক্তৃতা শেষ করেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন।এ দিন নির্বাচনী প্রচারের জন্য জম্মুর বিল্লাওয়ারায় পৌঁছতে পারেননি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এ নিয়ে কংগ্রেস জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছে। দলের মুখপাত্র রবীন্দ্র শর্মা অভিযোগ করেন, প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে প্রিয়ঙ্কার সভা ভন্ডুল করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রিয়ঙ্কা বিশনাহ কেন্দ্রে জনসভা করেছেন। কাশ্মীরের এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করছে।