ব্যুরো নিউজ,৩ ফেব্রুয়ারি:কর্নাটক সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুসরণ করে ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ বা ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি চালু করেছে। এই নতুন নীতির মাধ্যমে, যে সমস্ত রোগী কঠিন এবং জটিল রোগে আক্রান্ত, এবং যাদের চিকিৎসার কোনো আশা নেই, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যুবরণ করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে রোগী এবং তার পরিবারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে।
ফ্ল্যাট ফুটের(সমতল পা) সমস্যায় ভুগছেন? এই সহজ আসনেই রয়েছে সমাধানের
নতুন নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুণ্ডু রাও এই নতুন নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই নীতি কার্যকর করার জন্য দুটি মেডিক্যাল পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া থাকবে। প্রথম পর্যায়ে, তিন জন চিকিৎসক রোগীকে পর্যালোচনা করবেন। যদি তাঁরা মনে করেন রোগীর সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও তিন জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং একটি সরকার নিযুক্ত চিকিৎসক দ্বারা পর্যালোচনা হবে। দু’টি বোর্ডের রিপোর্টের পর, যদি আদালত অনুমোদন দেয়, তাহলে চিকিৎসকেরা রোগীর মৃত্যুর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবেন।
এই নীতি অনুসারে, যদি কোনো রোগী লাইফ সাপোর্টে থাকেন, তবে তাঁর লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করা হবে, তবে এটি সম্পূর্ণভাবে রোগীর পরিবারের সম্মতির উপর নির্ভর করবে। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে আবেদন করা হয়, তবে চিকিৎসকরা তা শুরু করবেন।
ফ্ল্যাট ফুটের(সমতল পা) সমস্যায় ভুগছেন? এই সহজ আসনেই রয়েছে সমাধানের
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় জানিয়েছিল, যে সমস্ত রোগী কঠিন রোগে আক্রান্ত এবং যাদের নিরাময় সম্ভব নয়, তাদের কষ্ট কমানোর জন্য মৃত্যুর অধিকার দেওয়া প্রয়োজন। এই নির্দেশনার পরই কর্নাটক সরকার ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ নীতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ রোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসবে। সরকারের আশা এই পদক্ষেপে অনেক মানুষ তাদের কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন এবং একটি শান্তিপূর্ণ মৃত্যু লাভ করবেন।
