৪০০ বছরের মা কালি

ব্যুরো নিউজ ২৫ অক্টোবর : ৪০০ বছর আগে শুরু হওয়া কামারপুকুরের গুপ্তবাড়ির শ্যামা পূজা আজও নিয়ম মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয়রা এই পূজাকে ‘বৈদ্যদের পুজো’ বলে ডাকেন। গুপ্তবাড়ির সদস্যরা ঐতিহাসিকভাবে চিকিৎসক বা বৈদ্য ছিলেন, তাই পুজোর এই নামকরণ।

মাদ্রাসাগুলির আর্থিক সাহায্যে স্থগিতাদেশঃ সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

দেবীর ভয়ঙ্কর রূপ

পূজার প্রস্তুতির আগে বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করা হয়। প্রতিমার পা লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা হয়, কারণ দেবীর রূপ ভয়ঙ্কর—রক্তঝরা জিভ এবং ঠোঁটের দুপাশে থাকে রক্তে ভেজা শাড়ির আঁচলের অংশ। এই পুজো তন্ত্র বিধিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং পূজার সময় পুরোহিত একাসনে বসে থাকেন। ঘট তুলে তিনি পূজা শুরু করেন, কিন্তু সুতো কেটে তবেই তিনি উঠতে পারেন।গুপ্ত পরিবারের ১৩তম প্রজন্মের সদস্য অপূর্ব গুপ্ত জানান, “এটি রণক্ষেত্রের মায়ের পুজো। আমাদের জন্য পূজার আড়ম্বর নয়, বরং আচার, নিষ্ঠা ও ভক্তির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। ভয় এবং ভয়ের কারণে দেবীকে লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা হয়, যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।”

বিপদজনক বাড়ির বাসিন্দাদের অবস্থান অটলঃ ঝড়ের ভয়েও বাড়ি ছাড়তে নারাজ

একটি প্রাচীন গল্পে বলা হয়, পরিবারের এক মহিলা খোলা চুলে সন্ধ্যা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন সকালে তার শাড়ির অংশ প্রতিমার ঠোঁটে আটকানো অবস্থায় পাওয়া যায়। সেই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে আচারে ত্রুটি থাকায় দেবী তাকে খেয়ে ফেলেছেন। তাই শ্যামার পূজোয় নিষ্ঠা ও আচার রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এভাবে কামারপুকুরের গুপ্তবাড়ির এই ঐতিহ্যবাহী পূজা আজও তার গুরুত্ব ও ধর্মীয় আচার পালন করছে। শ্যামার পূজায় আজও মানুষের মধ্যে একটি গভীর আস্থা রয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর