ব্যুরো নিউজ,১ জানুয়ারি:নতুন বছরে দেশের অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার বাবা-মা। মঙ্গলবার, বর্ষ বরণের রাতে ধর্মতলা চত্বরে তাঁদের অবস্থান মঞ্চ থেকে দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, ন্যায়বিচারের জন্য নতুন বছরে আরও শক্তিশালী আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তাঁরা বলেন, তাদের মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায় এবং এর বিচার নিশ্চিত করার জন্য, জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে। নির্যাতিতার বাবা তার বক্তব্যে বলেন, “সরকারের বিরোধিতা না করলে বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে, আর আমাদের বিরুদ্ধে নীরবভাবে কাজ চলছে।”
নতুন বছরে বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তনঃ ইতিহাস এবং সাহিত্যে নতুন সংযোজন
ক্ষোভ প্রকাশ
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া করে দ্রুত ট্রায়াল শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আন্দোলনটি ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এখন আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং সরকারের অবিচারের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে।” এই আন্দোলনটি ‘ওয়েষ্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’ এবং ‘অভয়া মঞ্চ’ যৌথভাবে ধর্মতলায় চালিয়ে যাচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আন্দোলনের অনুমতি ছিল এবং সেই দিনে উপস্থিত হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।এদিন নির্যাতিতার মা বলেন, “আমার মেয়েই ছিল আমার পৃথিবী, আর ২০২৪-এ সেই পৃথিবী হারিয়েছি। নতুন বছরেও আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যাতে আর কোনো বাবা-মাকে এমনভাবে হারাতে না হয়।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর পুলিশ তাঁদের প্রায় তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখে তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছে। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি ও বিধায়ক তড়িঘড়ি করে মেয়ের দেহ সৎকার করে দায় সেরেছিলেন।এদিন আন্দোলনকারীরা মোমবাতি ও মশাল মিছিলের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কর্মসূচির নাম ছিল ‘একত্রিশে সারা রাত, হোক দ্রোহের অগ্ন্যুৎপাত’।
এ যুগের বাবা ভাঙ্গা নিকোলাসের ২০২৫ নিয়ে ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী
আজ, নতুন বছরের প্রথম দিনে, ‘মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার’, ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’ এবং ‘নার্সেস ইউনিটি’ শপথ দিবস পালন করবে। সেখানে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যদেরও অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, আজ সকলে ‘ক্রাই অব দ্য আওয়ার্স’ মূর্তির সামনে সমস্বরে শপথ নেবেন, “নতুন বছর নতুন আলো, প্রত্যয়ের মশাল জ্বালো, শপথ থাকুক তিলোত্তমার, ছিনিয়ে আনব ন্যায় বিচার।” নির্যাতিতার বাবা-মা তাদের মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছেন। তারা আরও বলেন, “সরকারি হাসপাতালের ছোট্ট জায়গায় ঘটেছে এই ঘটনা, এখানে সিবিআইয়ের তদন্তে এত সময় লাগার কথা নয়।” তাঁদের দাবি, বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে না এবং প্রকৃত সত্য বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে না।
