ব্যুরো নিউজ ১২ অক্টোবর : কলকাতা হাই কোর্ট পুজোমণ্ডপে ‘জাস্টিস’ স্লোগান তুলতে গিয়ে ধৃত ৯ জনকে একাধিক শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন। এই জামিনের জন্য তাদেরকে এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিতে হবে। তবে, বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, আর কোনও পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ করতে পারবেন না এই ধৃতরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন এই খবর ধর্মতলার অনশন মঞ্চে পৌঁছায়, তখন আন্দোলনকারীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন এবং অনেকের চোখে আনন্দের অশ্রু দেখা যায়।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আবার গণ সমাবেশ
হাই কোর্ট কি নির্দেশ দিয়েছে
জামিনপ্রাপ্তরা আর কোনও পুজোমণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না এবং রাজ্য সরকারের কার্নিভালে কোনও রকম বাধা দেওয়া যাবে না। শুক্রবার বিচারপতি শম্পা সরকারের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বিচারপতি বলেছেন, ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই, তাই তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের জামিন কার্যকর থাকবে।কিন্তু, বিচারপতি বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। ধৃতদের প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দিতে হবে এবং পুজো মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ করার সুযোগ থাকবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।ঘটনাটি ঘটে বুধবার। দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো মণ্ডপে কিছু আন্দোলনকারী ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করেন। তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন এবং সেখানে লিফলেটও বিলি করেন। এরপর পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশের শক্তিপীঠে মোদীর উপহার দেওয়া মুকুট চুরি
বৃহস্পতিবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে, বিচারক ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ধৃতরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। শুক্রবার বিচারপতি শম্পা সরকার অবকাশকালীন বিশেষ বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, অনেকেই বিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন এবং ধৃতরা কোনও ধর্মীয় উসকানিমূলক স্লোগান দেয়নি। প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে, তাই তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন বিচারপতি।
