ব্যুরো নিউজ, ১ অক্টোবর :জুনিয়র চিকিৎসকরা ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিলেন, যা আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক প্রশিক্ষণাধীন মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির পর, ১ অক্টোবর থেকে তাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে রাজনীতি, এমনি অভিযোগ তৃণমূলের
মোট দশ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা
এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তবে সোমবারের বিক্ষোভের পর তারা আরও কয়েকটি দাবি যুক্ত করেছেন। চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, সিবিআই-এর তদন্তের গতি অত্যন্ত ‘শ্লথ’, এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। ভয়ের পরিবেশে কাজ করার জন্য তারা সুরক্ষিত বোধ করছেন না বলেও জানিয়েছেন।
নার্সিংহোমের বিল বকেয়া | টাকা মেটাতে হন্য হয়ে দুয়ারে মা ও শাশুড়ি
এক বিজ্ঞপ্তিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক এবং রোগী সুরক্ষার বিষয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না করায় তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা মোট দশ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: মৃত মহিলা চিকিৎসকের ন্যায়বিচার দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রশাসনিক অক্ষমতা ও দুর্নীতির দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিতে হবে। স্বাস্থ্যসচিবকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
জুনিয়ার চিকিৎসকদের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, নিরাপত্তার দাবিতে মশাল মিছিল
তাছাড়া, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করার। ডিজিটাল বেড ভ্যাকান্সি মনিটরের ব্যবস্থা করা। হাসপাতালগুলিতে পুলিশি সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য স্থায়ী পুলিশকর্মী নিয়োগের দাবি তুলেছেন তারা। ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণের পাশাপাশি, মেডিকেল কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং নানাবিধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছেন।