ব্যুরো নিউজ,২৬ সেপ্টেম্বর:হাথরস, কাঠুয়া ও উন্নাওতে ধর্ষকদের মালা পরানোর অভিযোগ তুলে, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। গত বুধবার আরজি কর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তারা জানান, রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের স্বার্থে তাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চাইছে। বিশেষ করে, দেবাশিস হালদার ও অনিকেত মাহাতোর মতো পরিচিত মুখেরা দাবি করেন, “আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, যারা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের ক্ষমতা দখলের জন্য আমাদের আন্দোলনকে কাজে লাগাতে দেওয়া হবে না।”
মা কুয়োয় ফেলে দিলেন ২৫ দিনের কন্যাসন্তানঃ শিলিগুড়িতে শোকের ছায়া
রাজনৈতিক দলের কিছু সদস্যরা অযথা বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে দিয়েছেন
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলের কিছু সদস্যরা অযথা বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে, মহালয়ার দিন নির্যাতিতার জন্য তর্পণ করার খবরটি সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন দেবাশিস। তিনি বলেন, “এই বিভাজনকামী রাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা প্রথম থেকেই দাঁড়িয়ে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”রাজ্য সরকারকে তারা একটি বার্তা দিতে চেয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকের পর কিছু লিখিত নির্দেশিকা পাওয়া গেলেও, সেগুলি বাস্তবে কার্যকর হয়নি। দেবাশিসের ভাষায়, “যদি সরকার রোগী পরিষেবা ও ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়ে গাফিলতি অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের আন্দোলন তীব্রতর করতে বাধ্য হব।”আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, কর্মবিরতি উঠে যাওয়ার পর কিছু ডাক্তার প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। “আমাদের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে সব ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে, সেগুলি প্রত্যাহার করতে হবে। এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে,” বলেন তারা।
ভারতে ‘সৌজন্যের ইলিশ’ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ, বিতর্কের আবহে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত
৯ অগস্ট থেকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু হওয়া তাদের কর্মবিরতি ৪২ দিন পর আংশিক তুলে নেওয়া হয়েছে। তারা জরুরি পরিষেবায় যোগদান করেছেন এবং স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্নাও উঠিয়ে নিয়েছেন। তবে, সরকারের কাছে তাদের দাবি পূরণের ব্যাপারে নিশ্চয়তা না পেলে আবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা। আন্দোলনরত ডাক্তারদের বক্তব্য, “আমরা সরকারের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসতে চাই, কিন্তু সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন আবার শুরু হবে।”এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট,তারা রাজনৈতিক এজেন্ডা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে চান এবং তাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হল স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং রোগী পরিষেবা।