ব্যুরো নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর :বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় নবান্নের কনফারেন্স হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে, তবে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না—এটি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকটি রেকর্ড করা হবে, যা পরবর্তীতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
“নেকড়ে-মানব নাকি বিরল রোগ: ভারতের মধ্যপ্রদেশে রহস্যময় কিশোরের কাহিনী”
নবান্ন থেকে চিঠিতে কি বলা হয়েছে?
রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এক চিঠির মাধ্যমে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের জানিয়েছেন যে, সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী গত দু’দিন ধরে নবান্নে অপেক্ষা করে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর আগের বৈঠকগুলোর সময় তাদের শর্ত পূরণ করা হয়নি তাই বৈঠক করেন নি ডাক্তাররা।
রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট: পুজোর বাজারে কী প্রভাব পড়তে পারে?
নবান্ন থেকে চিঠিতে বলা হয়েছে—
- বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ১৫ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেবেন।
- বৈঠক নবান্নের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হবে।
- সরাসরি সম্প্রচারের পরিবর্তে বৈঠকটি রেকর্ড করা হবে, যা পরবর্তীতে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
- চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য এবং স্বচ্ছতার জন্য এই রেকর্ডিং করা হবে।
মুখ্যসচিব চিকিৎসকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন এবং তাদের ৪টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নবান্নে পৌঁছানোর অনুরোধ করেছেন। বৈঠকে কাদের নিয়ে আলোচনা হবে তা ইমেলের মাধ্যমে জানাতে হবে। মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনে বসেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারা আরজি কর-কাণ্ডের বিচার ও অন্যান্য দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তাদের কাজে ফিরতে বলা হলেও তারা এখনও কাজে ফেরেননি এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু আন্দোলনরত ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে তাদের বৈঠকের সময় সরাসরি সম্প্রচার করতেই হবে কারন সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত তাই তারাও এই বৈঠকে যাতে সামিল হতে পারেন এই সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে। এছারা তারা আরও বলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সকালের কথা বিকেলে ভুলে যান তাই যাতে সবাই তার বলা কথা গুলো শুনতে পান তাই রাসরি সম্প্রচারের প্রয়োজন। এবং নবান্নের বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেটিও তারা মানতে নারাজ। ১৫ জন প্রতিনিধি একটা অত বড় বৈঠকে কম বলে জানিয়েছেন তারা। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাদের এই দুটি দাবি না মানা হলে তারা নবান্নে বৈঠক করতে যাবেন না।আন্দোলনকারী ডাক্তাররা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে নবান্নের বৈঠকে তারা ৩০ জন প্রতিনিধি মিলে যাবেন এবং সেই বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার যদি না হয় তাহলে তারা সেই মুহূর্তেই নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন।