ব্যুরো নিউজ,৪ অক্টোবর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল অরাজনৈতিকভাবে। কিন্তু সেই আন্দোলনে বিভিন্ন গোষ্ঠীর রাজনৈতিক চাপ ক্রমশ বেড়ে উঠছে। আন্দোলনের শুরু থেকেই যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মতামত এখন পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনটি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে।
ঠনঠনিয়ার দত্ত বাড়ির বনেদি দুর্গাপুজো, ১৭০ বছরের ঐতিহ্য
পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি
জুনিয়র চিকিৎসকেরা যখন পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি শুরু করেছেন, তখন তাদের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে কাজ বন্ধ রেখে গরিব মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে, যা রাজনৈতিক অভিসন্ধির প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পুজোর সময় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে চালু থাকবে, সেই নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে চলেছে। অনেক সিনিয়র চিকিৎসক কর্মবিরতি সমর্থন করতে পারছেন না এবং বলছেন, “দু’পা এগিয়ে, এক পা পিছিয়ে যাওয়াই আন্দোলনের সঠিক পথ নয়।”১০ অগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিল্ডিংয়ে একত্রিত হয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা সতীর্থের খুন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন। তখন তারা রাজনীতি মেশাতে চাননি। তবে পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে এক হয়ে ওঠে চিকিৎসক সমাজ। কিন্তু সেই মুহূর্তেও সূক্ষ্ম রাজনীতি কাজ করছিল, যেমন শাসক দলের ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র বিরুদ্ধে অন্যান্য গোষ্ঠীর লড়াই।
পুলিশের ভুয়ো ফোনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রৌঢ়ার মৃত্যু
অনেকেই বলছেন যে জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে রাজনৈতিক ‘পাশা খেলা’ চলছে। তাদের কিছু দাবি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও, রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের মতে, পিছন থেকে যারা আন্দোলনকে কাজে লাগাতে চাইছেন, তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত ।এবং তাদের হারানোর কিছু নেই।জুনিয়র চিকিৎসকেরা তাদের দাবি নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকলেও, রাজনৈতিক চাপের কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা কতটা বিপন্ন হচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ফলে গরিব মানুষের অধিকার কি খর্ব হচ্ছে? রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য কি এই আন্দোলনকে ব্যবহার করা হচ্ছে? প্রশ্নগুলো আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।