ব্যুরো নিউজ,১৯ অক্টোবর:সিবিআই তৎকালীন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে জেরা করছে। তদন্তে সিবিআই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে জুনিয়র ডাক্তাররা শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায়যাত্রা করবেন। ১৩ দিন কেটে গেল, ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। তবে, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, সিগ্ধা হাজরা এবং অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই অনশনে রয়েছেন। শুক্রবার, ধর্মতলা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সায়ন্তনী প্রশ্ন তোলেন, কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কাছে আসছেন না? কেন তাদের ১০ দফা দাবি পূরণ করা হচ্ছে না?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যদের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ
মুখ্যমন্ত্রী দায়ী
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ সায়ন্তনীর এই প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ধরনা মঞ্চে গেছেন, তিনি পুলিশের সাহায্যে কাউকে জোর করে তোলেননি।” তিনি এও উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বৈঠক করেছেন এবং সাংবাদিকদের সামনে কোনো অযথা কথা বলা ঠিক নয়।জুনিয়র ডাক্তার সায়ন্তনী বলেন, “আমরা ১৩ দিন ধরে শুধু জল খেয়ে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী কি আমাদের কথা ভাবছেন না? আমরা দেখেছি, তিনি দুর্গাপুজোয় ব্যস্ত রয়েছেন। কেন উনি এত নিষ্ঠুর?” সায়ন্তনীর বক্তব্য, সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছেন। তিনি আরও বলেন, “আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ আছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কি আমাদের শুকনো মুখের দিকে একবারও তাকিয়ে দেখছেন?”
চুলের সমস্যাও দূর করতে সর্ষের তেল উপকারিতা জানুন
আগামীকাল সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায়যাত্রা নিয়ে সায়ন্তনী জানান, “আমরা জানি, সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে আসবেন। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সাড়া আমরা কি পাব?” তিনি বলেন, “আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। মঞ্চের সামনে আসুন। আমাদের শক্তি দিন। আমাদের শরীর ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে।” অন্যদিকে, রুমেলিকা জানান, “৭০ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। ১৩ দিন ধরে অনশন। এটা হওয়া উচিত ছিল না। আমাদের এভাবে না খেয়ে থাকতে হবে না, এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী।” এখন সিবিআই তদন্তের সাথে সাথে রাজ্য সরকারও এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে।