ব্যুরো নিউজ,৫ অক্টোবর:ধর্মতলার মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা শক্তিশালী আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। তারা শুক্রবার রাজ্য সরকারকে ‘ডেডলাইন’ দিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও সঙ্গে রেখে দিয়েছেন একটি বড় শর্ত। ডাক্তাররা ঘোষণা করেছেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবিগুলি পূরণ না করা হলে আমরা আমরণ অনশনের দিকে যাব।” এ বিষয়ে তারা ১০টি দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, যার মধ্যে সঠিক রোগী পরিষেবা, সিসিটিভি, মৃতা নির্যাতিতা তরুণীর ন্যায় বিচার, এবং থ্রেট কালচার-এর মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্বস্তির খবর দ্রুত মাঠে ফিরতে চলেছেন পল পোগবার
ফেসবুকে শেয়ার করে কি লিখেছেন?
অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এই আন্দোলনের ভিডিও নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, “আমরণ অনশন…! হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ভাবতেই পারছি না!!” তিনি আরও বলেন, “অশেষ দূর্নীতি, মিথ্যাচার, ধাপ্পাবাজি, লোক দেখানো মিটিং এবং মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ফলাফল ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।”নেটিজেনদের মধ্যে একজন মন্তব্য করেছেন, “মিটিংয়ে বক্তব্য শুনে আমি অবাক হলাম, যখন অনশনের কথা বলা হলো,তাদের গলায় কোন কম্পন ছিল না! এই মাটি ক্ষুদিরাম-সুভাষ চন্দ্রের।” অপর একজন লিখেছেন, “আমরা উৎসব করি অথচ ছাত্রছাত্রীরা না খেয়ে থাকে… ছিঃ, কি লজ্জা।”
বিদেশে দুর্গাপুজোর নতুন মাইলফলক, লন্ডনের পিৎজহ্যাঙ্গার ম্যানরে শারদ উৎসব
এদিকে, শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আসার পর ওয়াই চ্যানেলে সাংবাদিকদের সামনে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ ও ডাক্তারদের মধ্যে বচসা বাধে, এবং মেট্রো চ্যানেলের সামনে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। সাংবাদিক বৈঠকের জন্য আসবাব নিয়ে আসা অন্য একটি দলের গাড়ি আটকায় পুলিশ। এ ঘটনায় এক জুনিয়র ডাক্তারকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ডাক্তাররা ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে বসে পড়েন, ফলে ধর্মতলা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ডাক্তারদের দাবি, কলকাতা পুলিশ জঘন্যভাবে তাদের দুজন জুনিয়র ডাক্তারকে একা পেয়ে আক্রমণ করেছে।