জয়পুর ট্যাংকার দুর্ঘটনা

ব্যুরো নিউজ,২৩ ডিসেম্বর:জয়পুর-আজমির হাইওয়েতে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন রাধেশ্যাম চৌধুরী। বিস্ফোরণের পর রাধেশ্যাম ৬০০ মিটার পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে সাহায্যের জন্য হাঁটতে থাকেন। তিনি রাস্তায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে আর্তনাদ করছিলেন, “আমাকে বাঁচাও, আমাকে গাড়ি করে নিয়ে চলো, গাড়ির ভাড়া আমি দিয়ে দেব।” কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ পথচারী তার এই আর্তনাদ উপেক্ষা করে মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিলেন।

২০২৫ সাল ধনু রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য কেমন যাবে?

হাসপাতালে চিকিৎসা


ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে, একজন অচেনা ব্যক্তি রাধেশ্যামের ভাই আখেরামকে ফোন করে জানান যে তার ভাই সমস্যায় পড়েছেন। আখেরাম দ্রুত দুই প্রতিবেশীকে নিয়ে হিরাপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান রাধেশ্যাম রাস্তায় পড়ে আছেন, দেহের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আখেরামের কথায়, “যদি মানুষ একটু সচেতন হয়ে ভিডিও না করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন, তাহলে আমার ভাই হয়তো এতটা ভয়ানক অবস্থায় পড়তো না।” পরে, রাধেশ্যামকে জয়পুরের সাওয়াই মান সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তাররা জানান তার বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।রাধেশ্যাম ছিলেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ১৩ জনের মধ্যে একজন। তার কাকা সীতারাম চৌধুরী জানিয়েছেন, রোজকার মতো সেদিনও রাধেশ্যাম তার গ্রাম বাল মুকুন্দপুরা নাড়া থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। আজমিরের টোল ট্যাক্স চেকিংয়ের কাছে আচমকাই ট্যাংকারটির বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় অনেকেই পুড়ে যান এবং ঘটনাস্থল জুড়ে মানুষের আর্তনাদ শোনা যায়।

বাঁকুড়ার সোনামুখীর জঙ্গলে বিরল সূর্যশিশির উদ্ভিদের সন্ধান, কি এই সূর্যশিশির ?

এম এম এস হাসপাতালের চত্বরটি প্রিয়জনদের কান্নায় ভরে ওঠে। দুর্ঘটনায় আহত মানুষদের চিৎকার আর তাদের পরিবারের আর্তনাদ সারা দিন ধরে শোনা যায়। এমনকি রাধেশ্যাম নিজের কাকাকে অন্যের ফোন থেকে দুর্ঘটনার কথা জানানোর চেষ্টা করেন।এই দুর্ঘটনা এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।রাধেশ্যামের আর্তি যদি কয়েকজন মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতো, তাহলে হয়তো তাকে এই পরিণতি ভোগ করতে হতো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর