ব্যুরো নিউজ,১২ ডিসেম্বর:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব নির্ধারিত দিঘা সফরে চমক হিসেবে ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাসের উপস্থিতি সবাইকে অবাক করেছে। দিঘার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের সময় মমতা তাকে মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ায় মন্দির সর্বসাধারণের জন্য খুলে যাবে এবং পরের বছর থেকেই রথযাত্রা শুরু হবে।
মন্দারমণির বেআইনি হোটেল ভাঙা স্থগিত, নতুন শুনানি জানুয়ারিতে
নতুন অধ্যায়
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে মমতার মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ হিন্দু ভোট আকর্ষণ করার চেষ্টা মাত্র। তিনি আরও বলেন “পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে তুলনা টানা অন্যায়।” সিপিএম ও কংগ্রেসও মমতার এই উদ্যোগকে ধর্মীয় আবেগ দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে।মুখ্যমন্ত্রী জানান দিঘার মন্দির রাজ্য সরকার নির্মাণ করলেও ভবিষ্যতে একটি ট্রাস্ট কমিটি তা পরিচালনা করবে। তিনি আরও বলেন “দিঘা একটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এখানকার ক্ষীরের গজা, ভুজিয়া এবং কালীঘাটের পেঁড়া ভক্তদের মধ্যে জনপ্রিয় হবে।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জিতে হাইকোর্টে সওয়াল আইনজীবীদের
এদিকে বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতারের বিষয়েও মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দু অধিকারী তাকে “ভেজাল হিন্দু” বলে কটাক্ষ করেন।দিঘার জগন্নাথ ধাম প্রকল্পে ইতোমধ্যে ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মন্দিরের উচ্চতা পুরীর মন্দিরের সমান এবং এটি ২০ একর জমিতে নির্মিত। মুখ্যমন্ত্রী সোনার ঝাঁটা দান করার প্রতিশ্রুতিও দেন।এখানে ধর্মীয় আবেগ এবং রাজনীতির মিশ্রণে দিঘার মন্দির এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।