ব্যুরো নিউজ ৪ সেপ্টেম্বর: জগদ্দলে আবারও সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নাম। শুক্রবার সকালে তার বাড়ির সামনে ঘটে যাওয়া এলোপাথাড়ি গুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তার দলবলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে সাইবার হামলাঃ সরকারি পরিষেবা অচল!
কে বা কারা করল এই হামলা ?
ঘটনাস্থল সম্পর্কে অর্জুন সিং জানান, শুক্রবার সকালে তিনি নিজ বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করে দুষ্কৃতীরা তার দিকে লক্ষ্য করে ইট, বোমা এবং গুলি চালাতে শুরু করে। এই ঘটনায় জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাক্তন সাংসদের দাবি, বোমার স্পিন্টার তার পায়ে লাগে এবং এটির পিছনে তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তার দলবলের হাত রয়েছে।অর্জুন সিং বলেন, “আমার বাড়ির সামনে ২০-২৫ জন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাদের সামনেই বোমা ছোড়া হয়। হামলাকারীরা কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও ধাক্কাধাক্কি করেছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নমিতের সঙ্গে এনআইএ মামলার কয়েকজন আসামিও আজ আমার বাড়িতে হামলা চালায়।”অপরদিকে, জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, “অর্জুন নিজেই গুলি ছুড়েছেন এবং তার লোকেরা পিছন থেকে বোমা ছুড়েছে। সম্ভবত সেই বোমাতেই তিনি আঘাত পেয়েছেন। অর্জুনের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে, তাই তিনি মরিয়া হয়ে এসব করছেন। কখনও নমিত সিংয়ের নাম তো কখনও আমার নাম নিয়ে অভিযোগ করছেন।”এই ঘটনার পর থেকে পুরো জগদ্দল এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা এই ধরনের সহিংসতার অবসানের জন্য অনুরোধ করছেন।
শিল্পা শেট্টির অগ্নিমূর্তিঃ হাসপাতালে গোবিন্দাকে দেখতে গিয়ে গেলেন চটে
এমন ঘটনার ফলে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে এবং দুই পক্ষের মধ্যে আরও সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিত সংঘাতের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র রাজনৈতিক পালাবদল নয়, বরং সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।