ব্যুরো নিউজ,২৯ জানুয়ারি :আজ (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) তাদের শততম উৎক্ষেপণ পালন করতে চলেছে, যা শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে GSLV-F15 মিশন দ্বারা বাস্তবায়িত হবে। এর মাধ্যমে তারা একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করছে। প্রথম উৎক্ষেপণটি ছিল ১০ আগস্ট, ১৯৭৯, যেখানে স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল-৩ (SLV-3 E10) রোহিনী টেকনোলজি পে লোড নিয়ে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। যদিও এটি আংশিকভাবে সফল হয়েছিল, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাফল্যের পথ শুরু হয়েছিল তখন থেকেই।
শীতের দুপুরে শৈশবের স্বাদ ফিরে আসুক পাহাড়ি খাট্টাই এর সাথে। রইল রেসিপি
ইতিহাস
সেই সময়ে, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম, যিনি তখন ISRO-র সাথে কাজ করছিলেন, এই মিশনের পরিচালক ছিলেন। এরপর, তাদের তীব্র পরিশ্রম এবং সততা দ্বারা পরবর্তী বছর, ১৮ জুলাই, ১৯৮০-তে SLV-3E2 উৎক্ষেপণের মাধ্যমে রোহিনী স্যাটেলাইট RS-1 কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।এর পর থেকে, ISRO সফলভাবে একাধিক মিশন উৎক্ষেপণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে SLV, ASLV, PSLV, GSLV, LMV3, SSLV এবং Gaganyaan প্রোগ্রামের মতো উল্লেখযোগ্য মিশনগুলি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতের চন্দ্র মিশনগুলি, যেমন ২০০৮ সালের PSLV-C11/Chandrayaan-1, ২০১৯ সালের GSLV-Mk III – M1/Chandrayaan-2 এবং ২০২৩ সালের LVM3 M4/Chandrayaan-3, যা ভারতের চন্দ্র মেরু অঞ্চলে প্রথম সফল অবতরণ করেছে।
এছাড়াও, ২০১৩ সালের PSLV-C25/Mars Orbiter Mission (মঙ্গল অভিযান) ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহ মিশন। ২০২৩ সালের PSLV-C57/Aditya-L1 মিশন ছিল সূর্য নিয়ে ভারতের প্রথম গবেষণা অভিযান।আরেকটি বড় অর্জন ছিল ২০১৭ সালের PSLV-C37/Cartosat-2 সিরিজ, যেখানে ISRO একযোগে ১০৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছিল, যা ২০২১ সালে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ দ্বারা ১৪৩টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়।
সিনারের অস্ট্রেলীয় ওপেন জয়ের পরেও ডোপিং কেলেঙ্কারির ছায়া রয়ে গেল
তবে সবকিছুই সহজ ছিল না। ISRO-র এই দীর্ঘ যাত্রায় কিছু ব্যর্থতাও ছিল। ২০০৬ সালে GSLV-F02/INSAT-4C, ২০১০ সালে GSLV-D3/GSAT-4 এবং GSLV-F06/GSAT-5P-এর মতো কিছু উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছিল। এছাড়াও, GSLV-F10/ EOS-03-এর মতো ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।তবে ISRO সবসময় এই সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এবং এখন শততম উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পৃথিবী ও মহাকাশের এক নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে।
