ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:বিশ্বের কোনও প্রান্তে সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদে ইসকনের কোনও সম্পর্ক নেই, এমনটাই দাবি করলেন ইসকনের আন্তর্জাতিক সভাপতি মধু পণ্ডিত দাস। বাংলাদেশে ইসকনকে ‘জঙ্গি’ সংগঠন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা, জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। মধু পণ্ডিত দাস বলেছেন, ‘এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।ইসকন এক শান্তিপ্রিয় ধর্মীয় সংগঠন এবং এর সদস্যরা সারা বিশ্বে মানবতার কল্যাণে কাজ করে চলেছে।’ বাংলাদেশের একটি গোষ্ঠী বর্তমানে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ‘জঙ্গি’ বলে দাগিয়ে দিয়েছে এবং ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগের মধ্যে ইসকনের সভাপতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘বিশ্বের কোনো প্রান্তে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসকন কেবল শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় কার্যক্রমে নিয়োজিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসকন দেশের মানুষের জন্য সহযোগিতা ও সহানুভূতি দেখানোর ক্ষেত্রে সদা প্রস্তুত। আমরা ধর্ম নির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করি।’
বাংলাদেশে ইসকনের অফিস বন্ধ, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবিতে উত্তেজনা
আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি
বন্যার সময় ইসকনের সাহায্যমূলক কার্যক্রমের উদাহরণ তুলে ধরে মধু পণ্ডিত দাস জানান, ‘বাংলাদেশে বন্যার সময় ইসকন যে সহায়তা প্রদান করেছে, তা সকলেই জানেন। আমরা সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি।’ তিনি ভারতের সরকারকে আবেদন জানিয়েছেন যেন তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে, এবং দেশের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয় যে, ইসকন একটি শান্তিপূর্ণ ধর্মীয়স্থল যা সবার কল্যাণে কাজ করে। অপরদিকে বাংলাদেশের হাইকোর্টে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উত্থাপিত হতে চলেছে। বুধবার এক আইনজীবী বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন, যা এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। বিচারপতি ফারহা মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এটি শোনার জন্য উঠবে।
মঙ্গলগ্রহে মানবমূর্তি? পারসিভিয়ারেন্স রোভারের ছবি নিয়ে নতুন রহস্য
বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ আরও তীব্র হচ্ছে।ভারতে প্রতিবাদ চলছে, আর ‘ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা স্টাডিজ’ নামে একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ২০০টিরও বেশি হামলা হয়েছে, এবং এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।বিশ্বজুড়ে এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, এবং ইসকন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।