ব্যুরো নিউজ ১০ জুন: ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্য রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশ ইস্যু। সম্প্রতি কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় ‘বাংলাদেশি’ নিউটন দাসের নাম উঠে আসার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই পরিস্থিতিতেই আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন কাকদ্বীপ নিবাসী ৬০ পেরনো এক বৃদ্ধ, অর্জুন দাস। তার দাবি, প্রায় ৩৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন তিনি। এদেশে বিয়ে করে কাকদ্বীপের পূর্ব গঙ্গাধরপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে। আধার ও প্যান কার্ড থাকলেও আজও মেলেনি ভোটার কার্ড।
স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে ভোটার কার্ড
অর্জুনের অভিযোগ, ১২ বছর আগে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ বিশ্বাস ভোটার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। অসুস্থ স্ত্রীর গয়না বিক্রি করেও সেই টাকা জোগাড় করেছিলেন অর্জুন। কিন্তু বছর কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়নি। অভিযোগ আরও বিস্ফোরক হয়ে ওঠে যখন জানা যায়, অভিযুক্ত কাশীনাথ তৃণমূলের অপর নেতা দেবাশিস দাসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও কাশীনাথ টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দেবাশিস দাস স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি অর্জুন দাস নামে কাউকে চেনেন না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
‘নির্লজ্জ কমেডিয়ান TMC MLA!’ কাঞ্চনকে একহাত নিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা
এই অভিযোগ সামনে আসতেই ফের প্রশ্ন উঠছে—তৃণমূল নেতারা কি রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটার তালিকায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অন্তর্ভুক্ত করছেন? বিজেপির দাবি, তৃণমূলের একাধিক ‘বড় মাথা’ অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় তোলার কাজে যুক্ত। তাঁদের কড়া ভাষায়, “যদি এই র্যাকেট বন্ধ করতে না পারা যায়, তাহলে ভোটার তালিকা থেকে ভারতীয়দের বাদ পড়ার ভয়ও থেকে যায়।”
তৃণমূল এই অভিযোগকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে ভোটের আগে বারবার অনুপ্রবেশ এবং ভোটার তালিকা দুর্নীতির মতো বিষয় সামনে আসায় দলের অস্বস্তি যে বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিউটন দাসের ছবি তৃণমূল নেতার সঙ্গে ভাইরাল হওয়ার পর তৈরি হওয়া বিতর্ক এখন অর্জুনের বিস্ফোরক দাবিতে নতুন মাত্রা পেয়েছে।