ব্যুরো নিউজ,৫ ডিসেম্বর:প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও বাংলাদেশ। কিন্তু সামরিক শক্তির তুলনায় দু’দেশের মধ্যে পার্থক্য বিশাল। ২০২৪ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী সামরিক শক্তিতে ভারত বিশ্বের চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। ভারতের পাওয়ার ইনডেক্স ০.১০২৩ যেখানে শীর্ষস্থানাধিকারী আমেরিকার ইনডেক্স ০.০৬৯৯। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই তালিকায় ৩৭ নম্বরে রয়েছে যার পাওয়ার ইনডেক্স ০.৫৪১৯।
৯৮ কিলোমিটার ট্রাকযাত্রাঃ ইঞ্জিনে লুকিয়ে থাকা পাইথনের কাণ্ডে চাঞ্চল্য
আকাশপথে শক্তির তুলনা
ভারতের কাছে রয়েছে মোট ২,২৯৬টি এয়ারক্রাফট যার মধ্যে ৬০৬টি যুদ্ধবিমান এবং ৮৬৯টি হেলিকপ্টার। তেজস, রাফাল, মিরাজ-২০০০ এবং সুখোই এসইউ-৩০এমকেআইয়ের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভারতের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশের হাতে রয়েছে ২১৬টি এয়ারক্রাফট যার মধ্যে যুদ্ধবিমান মাত্র ৪৪টি এবং হেলিকপ্টার ৭৩টি। যুদ্ধবিমানের সংখ্যায় বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৯ নম্বরে যা ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদে সরব তথাগত রায়, কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
স্থলসেনার শক্তি
ভারতের কাছে রয়েছে ৪,৬১৪টি ট্যাঙ্ক, ১,৫১,২৪৮টি সামরিক যান, এবং ৭০২টি রকেট আর্টিলারি। এছাড়া ভারত পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ায় এর ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশের স্থলভাগে রয়েছে ৩২০টি ট্যাঙ্ক, ১৩,১০০টি সামরিক যান, এবং ৭১টি রকেট আর্টিলারি। ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের দিক থেকে বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।
চিনের সঙ্গে নেপালের পূর্ণ চুক্তি, বিআরআই প্রকল্পে ভারতের এড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত
জলসেনার শক্তি
জলপথে ভারতের হাতে ২৯৪টি নৌসামগ্রী, যার মধ্যে ১২টি ফ্রিগেট, ১২টি ডেস্ট্রয়ার, ১৮টি সাবমেরিন, এবং দুটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার (আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত) রয়েছে।
বাংলাদেশের হাতে রয়েছে মোট ১১৭টি নৌসামগ্রী। এর মধ্যে দুটি সাবমেরিন, সাতটি ফ্রিগেট, এবং ৫৫টি প্যাট্রোল ভেসেল রয়েছে।ভারত ও বাংলাদেশের সামরিক শক্তির এই তুলনা স্পষ্টভাবে দেখায় দুই দেশের সামরিক ক্ষমতায় কতটা তফাত।