ব্যুরো নিউজ,১৯ অক্টোবর:সম্প্রতি একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডিয়ান বর্ডার পুলিশের আধিকারিক সন্দীপ সিং সিন্ধুকে পলাতক সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় যুক্ত করেছে ভারত। এর পেছনে রয়েছে কানাডায় খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড।এর ফলে ভারত-কানাডার সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভাঙনের জন্য এই হত্যাকাণ্ড একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংসদে দাবি করেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ রয়েছে। তবে ভারত সরকার এই অভিযোগ খারিজ করেছে এবং কানাডা সরকার এখন পর্যন্ত কোনও প্রমাণও দিতে পারেনি।
হরদীপ সিং নিজ্জরের পরিচিতি
সুপারস্টার দেবের টেক্কা ডাকাত শিবপ্রসাদেরঃ বক্স অফিসের যুদ্ধ
গত ২০২৩ সালের ১৮ জুন গুরুদ্বারে গুলি করে হত্যা করা হয় হরদীপ সিং নিজ্জরকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাকে ২০টিরও বেশি গুলি করা হয়। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারে এলাকায় বসবাসকারী হরদীপ, কানাডার ভ্যানকুবারে খলিস্তানি বিক্ষোভের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে এনআইএ-র চারটি মামলা ছিল, যার মধ্যে এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে। এনআইএ হরদীপের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করে। তিনি খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান ছিলেন এবং ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনের মতাদর্শ প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন।
তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডঃ নিরাপত্তার দাবি ও সিবিআই তদন্ত
এদিকে, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা-সহ কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের মামলায় ‘পারসন অফ ইন্টারেস্ট’ হিসেবে দেখা হয়েছে। কানাডা দাবি করেছে, এই কূটনীতিবিদদের কাছে হয়তো কিছু তথ্য থাকতে পারে। এ নিয়ে ভারত সরকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস উইলারকে তলব করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে কূটনীতিবিদদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিবিদকে বের করে দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার ফলে ভারত-কানাডার সম্পর্কের ভাঙন আরও গভীর হচ্ছে।