ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে এখন তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।এরই মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন ৬৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাদের মধ্যে রয়েছেন সাংসদ, প্রাক্তন বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস এবং আইপিএস অফিসাররা।এই চিঠিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর চলমান আক্রমণের বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে।চিঠিতে ভারত সরকারকে বলা হয়েছে যে, তারা যেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়। বিশেষ করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এবং অন্য ধর্মীয় নেতাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের চাকরি, সম্পত্তি এবং মৌলিক অধিকার যেন খর্ব না হয়। এছাড়া, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারীদেরও বিচার পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসকনকে ‘জঙ্গি’ অপবাদের বিরুদ্ধে মধু পণ্ডিত দাসের জোরালো প্রতিবাদ
ভারত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে
চিঠির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক্ষেপ নেওয়া এবং সম্ভব হলে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য ভারত সরকারকে উদ্যোগী হতে বলা।এছাড়া, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করারও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে বাংলাদেশে সনাতন ধর্মের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।এর আগে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, তাদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর প্রতিবাদে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশ করছিলেন। তার গ্রেফতারি এবং জামিন নাকচের ঘটনায় ভারত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
বাংলাদেশে ইসকনের অফিস বন্ধ, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবিতে উত্তেজনা
তবে বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক এর বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দাবি করেছে, ভারতের বিবৃতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি করছে এবং দুই দেশের সম্পর্কের পরিপন্থী। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
