ব্যুরো নিউজ,১৩মার্চ:মঙ্গলবার, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে লোকসভায় পেশ করা হয়েছে অভিবাসন ও বিদেশি নাগরিক সংশোধনী বিল, যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা চলছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই বিলটি পেশ করে দাবি করেছেন, এটি পুরনো অভিবাসন আইনের আধুনিকীকরণ, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
কি কি শাস্তি থাকছে
মিষ্টি খেয়ে জল খেলে সুগার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। কথাটা কি সত্যি?
নতুন বিলটি বর্তমান চারটি পুরনো অভিবাসন আইন—পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০, বিদেশি নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯, ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০—কে বাতিল করে, একটি যুগোপযোগী আইন প্রবর্তন করতে চায়। এই বিলের আওতায় অভিবাসন সংক্রান্ত বেশ কিছু কঠোর বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভারতে থেকে যান, তবে তাকে তিন বছরের জন্য কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দেওয়া হতে পারে। এছাড়া, দালালদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করা বিদেশি নাগরিকদের জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে।
পরীক্ষায় ৯৫ % নাম্বার তুলতে চান তাহলে আপনার জন্য রইল স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার ৮টি কার্যকর কৌশল
নতুন আইনে এমন বিধানও রাখা হয়েছে যে, যদি কোনো বিদেশি ব্যক্তি ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালগুলির অধীনে থাকেন, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেই তথ্য প্রশাসনকে জানাতে হবে। তাছাড়া, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ভারতে কোনো ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন, তবে ওই বাড়ির মালিককেও এই বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ইমিগ্রেশন অফিসারদের জন্য এই আইনে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা বিনা পরোয়ানাতেই বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের দিন শেষ বাজারে আসতে চলেছে টিকা
বিরোধীরা এই নতুন বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।বিশেষ করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, “এই বিলটি ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করবে এবং সরকারের বিরোধিতা করলে সেই নাগরিকদের ভারতে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।” তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সৌগত রায়ও এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি বলেন, “ভারতে ইতিমধ্যে অভিবাসন নিয়ে বিভিন্ন আইন আছে, তাহলে নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন কী?” বিরোধী দলগুলো এই বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর দাবি করেছে, যাতে আইনটির বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।
নতুন অভিবাসন আইনটির মাধ্যমে ভারত সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও কঠোর ও সুসংহত করতে চায়, কিন্তু বিরোধীদের আশঙ্কা, এই আইনের প্রয়োগের ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে এবং নাগরিকদের অধিকার খর্ব হতে পারে।