ব্যুরো নিউজ,২৩ সেপ্টেম্বর:নানান জল্পনা-চর্চার মধ্যে, আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেন জানিয়েছেন, তিনি এবারের ভোটে অংশগ্রহণ করবেন না। তিনি স্পষ্ট করেছেন, সভাপতি বা সম্পাদক—কোনও পদেই তিনি প্রার্থী হবেন না। শান্তনু বলেন, ‘অনেকেই আমাকে সেক্রেটারি হিসেবে চাইছিলেন। কিন্তু আমি মনে করেছি, আমি অনেকদিন এই দায়িত্ব পালন করেছি। আইএমএ অরাজনৈতিকভাবে কাজ করুক। আমার না থাকাটাই ভালো।’
বানভাসি দুর্গতদের পাশে শুভেন্দু অধিকারী,এক মানবিকতার উদাহরণ
শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায় গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি
রবিবার আইএমএ-র রাজ্য শাখার সাধারণ সভা ঘিরে বেশ কিছু অস্থিরতা দেখা যায়। সভা শুরু হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গ লবির সদস্যদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়। এরপর শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায় গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, দুই পক্ষ একে অপরের কাছে হাত জোড় করে আর্জি জানাতে দেখা যায়।শান্তনু সেন বিগত ১০ বছর ধরে আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক পদে রয়েছেন। তার না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল ছিল। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের স্বার্থে আমি সবসময় থাকব। এটি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’সভাস্থলে একটি মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যায়, শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং তীব্র বাক্য বিনিময় হচ্ছে। সুশান্ত রায় বলছেন, ‘এগুলো আপনার বানানো গল্প।’ শান্তনু পক্ষের অনেকে পাল্টা বলেন, ‘কোনওটাই বানানো নয়।’ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায়, শান্তনু সেন সুশান্ত রায়কে সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
দুর্গাপুজোর আগে ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর সহজ উপায়
এদিকে, আরজি কর কাণ্ড ঘিরে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রবিবারের সভায় উত্তরবঙ্গ লবির পক্ষ থেকে সুশান্ত রায়রা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সভাস্থলে আসতেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।শান্তনু সেনের এই সিদ্ধান্ত এবং সভার ঘটনা আইএমএ-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।