ব্যুরো নিউজ,১১মার্চ: মহাকাশযানগুলি মানুষের জন্য এক বৃহত্তম কীর্তি, যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চরম উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। মহাকাশে এখন রকেট, উপগ্রহ, নভোযান, সবই চলছে, কিন্তু এক সময় তাদের আয়ু শেষ হয়ে যায়। যখন মহাকাশযানগুলির কর্মক্ষমতা ফুরিয়ে যায়, তখন সেগুলিকে ধ্বংস করতে হয়। কিন্তু এমন একটি কাজ কীভাবে করা হবে, যাতে পৃথিবী বা মহাকাশের অন্য কোনো উপাদানের ক্ষতি না হয়? এই চিন্তা থেকেই এক অদ্ভুত এবং অত্যন্ত নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে এসব নষ্ট হয়ে যাওয়া মহাকাশযান আছড়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনও আছড়ে পড়বে
জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সন্তানের জন্য কি কি পুরস্কার দেবেন চন্দ্র বাবু নাইডু
মহাকাশযানগুলির অবশিষ্টাংশ পৃথিবীতে নিয়ে আসা তো সম্ভব নয়, কারণ তা মানুষের জীবন এবং পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এক বিশেষ স্থান, যা পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জায়গা। এই অঞ্চলের আয়তন বিশাল, এবং এখানে কোন স্থলভাগ নেই। এর ফলে, মহাকাশযানগুলি মহাসাগরের জলে ডুবে গিয়ে কোনও প্রাণী বা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে না।
ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিভাবে জানবেন? হলে কিভাবে সারাবেন রইল সহজ কিছু টিপস
এই বিশেষ স্থানটি প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি মহাকাশযান ধ্বংস করার জন্য আদর্শ স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে কারণ এখানে কোনো মানুষের বসবাস নেই এবং কোনো স্থলভাগের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। মহাকাশযান, রকেট এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি এই এলাকায় গিয়ে সমুদ্রে ডুবে যায়, যেখানে তা মানুষের জন্য বিপদজনক কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না।
ব্রন ও ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা এক নিমেষে হবে ছু মন্তর কিভাবে করবেন জেনে নিন
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াইশোর বেশি মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। এসব মহাকাশযানগুলির জীবিত অবস্থায় পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, কিন্তু তাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা সেগুলিকে এই অজানা স্থানে নিয়ে গিয়ে ধ্বংস করেছেন। এখানেই একদিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনও আছড়ে পড়বে, কারণ এর আয়ু শেষ হয়ে যাবে।
তবে, এসব মহাকাশযান ধ্বংস করার সময় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকেন, যেন জলজ প্রাণীদের কোনো ক্ষতি না হয়। তারা নিশ্চিত করেন যে, কোনও ক্ষতিকর উপাদান সমুদ্রে না ছড়িয়ে পড়ুক, যা পরিবেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। এটি একটি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট এবং বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি, যা মহাকাশযানের শেষ মুহূর্তে তাদের নিরাপদ এবং পরিবেশ-বান্ধব ধ্বংস নিশ্চিত করে।এভাবে, মহাকাশ বিজ্ঞানীরা একটি বিরাট দায়িত্বের সঙ্গে মহাকাশযানের সঠিক ব্যবস্থাপনা করেন, যাতে মহাকাশ এবং পৃথিবীর পরিবেশ নিরাপদ থাকে এবং প্রযুক্তি অগ্রগতির সঙ্গে মানানসই হয়।